শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:৫৫:১৩

এ বছরের কিছু অদ্ভুত ফ্যাশন!

এ বছরের কিছু অদ্ভুত ফ্যাশন!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : প্রতি বছরই বেশ কিছু নতুন ট্রেন্ড ঝড় তোলে ফ্যাশন দুনিয়ায়। তবে কিছু এমন ট্রেন্ডও আসে, যা দেখলেই বিরক্ত লাগে! এ বছরের তেমনই কয়েকটা অদ্ভুত ফ্যাশন ট্রেন্ডের দিকে আজ ফিরে দেখবো। হৃদমাঝারে : কোরিয়ার এক তরুণী এই চুলের ট্রেন্ড শুরু করেন। তারপর অবশ্য ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের বদৌলতে অনেকেই এমন হেয়ারস্টাইল করা শুরু করে দেন! সামনের ছোট করে কাটা চুল হেয়ারস্প্রে আর কার্লারের সাহায্যে ঘুরিয়ে কপালের কাছে হার্টের আকারে করে নিতে হবে। কমবয়সি মেয়েদের খুব একটা মন্দ দেখতে লাগে না বটে। কিন্তু অনেক সময় চুলগুলো বিকট জোড়া ভ্রুয়ের মতো দেখায়! এবেলার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়। ঝিলমিলে চুল : চুল পড়ে মাথার সামনেটা হালকা হয়ে আসছে? চিন্তা করবেন না। চুলের গোড়ায় একগুচ্ছ অভ্র লাগিয়ে ঢেকে ফেলুন! এটাই নাকি এখন ট্রেন্ড। যারা চুলে রং করান, তাদের পক্ষে এটা সুবিধেজনকও। তবে এটা ভাল করে পরিষ্কার করার পদ্ধতি এখনও জানা নেই। খুশকির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তবে ভাল খবর এই যে, চুলের গোড়ায় খুশকি আর চুলের গোড়ায় অভ্র অনেকটা একই রকম দেখতে লাগে! হ্যাং‌ওভার মেকআপ : দক্ষিণ এশিয়ার এই মেকআপ ট্রেন্ড পার্টির মৌসুমের জন্য আদর্শ। আগের রাতে সারাক্ষণ পার্টি করলেও যেমন দেখাবে, মেকআপ করলেও নাকি তেমনই দেখাবে! শোনা যাচ্ছে, কারদাশিয়ানদের কনট্যুর মেকআপের পর এই ট্রেন্ডে মজেছে গোটা দুনিয়া। চোখের নীচের দিকে একটু গাঢ় আইশ্যাডো দিয়ে ফোলা ভাবটা আনতে হবে। তারপর বেশ খানিকটা ব্লাশ দিয়ে নীচের গালের অংশে লালচে ভাব আনতে হবে। বাকি মেকআপে ক্যাজুয়াল লুক রাখতে হবে। শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক, এবার সারারাত ফুর্তি করতে বাধা নেই! চুলোচুলি : চুল নিয়ে এ বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা কম হয়নি। কখনও কেউ পুরো চুলে রামধনু রঙের হাইলাইট করে নিচ্ছেন, কখনও আবার চুল পুড়িয়ে জেল্লা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন! হেয়ারকালার নিয়ে অনেকেই এক্সপেরিমেন্ট করেন। তাতে কারদাশিয়ান বোনেরাই অবশ্য এগিয়ে। তবে সবচেয়ে অবাক-করা হেয়ারকালার ট্রেন্ড হল পিক্সেল হাইলাইট। চুলে এমনভাবে গাঢ় আর হালকা রঙের স্ট্রিক করা হয় যে দেখে কম্পিউটার পিক্সেলের মতো লাগে! হিজাবে ললিতা : কেউ হয়তো কোনওদিন ভাবতে পারেনি, যে জাপানি ললিতাকে হিজাব পরে দেখা যেতে পারে। এর কৃতিত্ব পুরোটাই মার্কিনি দুই বোন নূর এবং আলিশার। দুই তরুণী জাপানি ললিতার ভক্ত। তাই তারা ঠিক করে, ভিক্টোরিয়ান ড্রেসের সঙ্গে রং মিলিয়ে হিজাব পরবে। তাদের শুরু করা এই ট্রেন্ড বেশ তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে যায়। তাদের টাম্বলার অ্যাকাউন্টে নিমেষে ১০ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার হয়ে যায়। এই সাজ খুব একটা অদ্ভুত নয়। বরং বেশ কিউট। কিন্তু কোথাও যাওয়ার আগে তৈরি হতে দুই বোন কত সময় নেয়, সেটা ভাবার বিষয়! বুদবুদ নখ : ‘টম অ্যান্ড জেরি’তে জেরি শয়তানি করে টমের আঙুলের উপর দরজা বন্ধ করে দিত। আর বেচারা টমের আঙুলগুলো ফুলে ঢোল হয়ে যেত! কে জানত, সেটাই একদিন ফ্যাশন ট্রেন্ড হয়ে যাবে! এখন নাকি রংবেরঙের থ্রি-ডি নখ বেজায় জনপ্রিয়! লোকে হাজার হাজার টাকা খরচ করে পার্লারে গিয়ে এমন বিদঘুটে দেখতে আঙুল নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের ম্যানিকিওর আগেও ছিল। কিন্তু ইদানীং চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আবার নতুন করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বিউটিশিয়ানরা! ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমেই নাকি এর এত জনপ্রিয়তা। সবই তো হল। কিন্তু এমন নখ রাখলে সকালের কাজ সারতে অসুবিধে হয় নাতো? কাইলি জেনার চ্যালেঞ্জ : এ বছরের সব ট্রেন্ডের মধ্যে এটাই বোধহয় সবচেয়ে ক্ষতিকর! হঠাৎই ইনস্টাগ্রামে হ্যাশট্যাগ কাইলি জেনার চ্যালেঞ্জ শুরু হয়। কাইলির চেয়েও বয়সে অনেক ছোট (কাইলির বয়সই মোটে ১৭) মেয়েরা কৃত্রিম উপায়ে ঠোঁট ফোলানোর চেষ্টা শুরু করে দেয়। তার জন্য কিছু ক্রিম ব্যবহার করেছিল তারা। কিন্তু ফল মোটেই সুখকর হয়নি। কাইলির মতো ঠোঁটে পেতে গিয়ে তারা বেশ কষ্টই পাচ্ছিল। ইন্টারনেট জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে তা দমাতে পারেনি এই বিকট ট্রেন্ডকে! শেষে কাইলি ইউটিউবে সকলকে এই চ্যালেঞ্জ বন্ধ করতে অনুরোধ করে। ধীরে ধীরে থিতিয়ে যায় উন্মাদনা। ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে