এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সারা বিশ্বে গত ৩০ বছরে ভাই'রাসের প্রকো'প দেখা দেওয়ার ঘটনা বেড়েছে। এর ফলে খুব দ্রু'ত ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের অসুখ। এখন এরকমই এক করোনা ভাই'রাস সং'ক্র'মণের ঘটনা ঘটছে চীনে, যা খুব দ্রু'ত চীনের বিভিন্ন শহরে তো বটেই, সীমান্তের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু কেন এতো দ্রুত ছড়াচ্ছে এই করোনা ভাই'রাস?
পৃথিবীতে এখন মানুষের সংখ্যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। বিশ্ব জনসংখ্যা বর্তমানে ৭৭০ কোটি। এই সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি মানুষ এখন একজন আরেকজনের খুব কাছাকাছি বসবাস করছে। অল্প জায়গায় বেশি মানুষ বাস করার অর্থই হলো জীবাণুর সংস্পর্শে আসার ঝুঁ'কি বেড়ে যাওয়া, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ বিসুখের সৃষ্টি হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, চীনের উহান শহরে করোনা ভাই'রাস ছড়িয়েছে মানুষ থেকে মানুষে, তাদের হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে। মানুষের দেহের বাইরে এই ভাই'রাসটি খুব অল্প সময় বেঁচে থাকতে পারে। ফলে ভাই'রাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে হলে তাদেরকে কাছাকাছি থাকতে হবে।
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভ'য়াব'হ ভাই'রাসের প্রকো'প দেখা দিয়েছিল ১৯১৮ সালে। ওই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাই'রাসটি পরিচিত স্প্যানিশ ফ্লু নামে। প্রথম বিশ্বযু'দ্ধের শেষের দিকে, মানুষ যখন ইউরোপের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাচ্ছিল, তখনই ওই ভাই'রাসটি ছড়িয়ে পড়েছিল।
ভাই'রাসটি যখন ছড়াচ্ছিল তখন সৈন্যরা ফিরে যাচ্ছিল যার যার নিজেদের দেশে। একই সঙ্গে তারা সাথে করে নিয়ে যাচ্ছিল ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাই'রাসও। এই ভাই'রাস তারা এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল যেখানে তখনও ভাই'রাস প্রতিরো'ধী কোন ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরো'ধী ব্যবস্থার কাছেও ওই ভাই'রাসটি ছিল একেবারেই অচেনা ও নতুন।
ভাইরোলজিস্ট জন অক্সফোর্ডের একটি গবেষণা অনুসারে ওই ভাই'রাসটির উৎস ছিল একটি ক্যাম্প, যেখান দিয়ে প্রতিদিন এক লাখের মতো সৈন্য অতি'ক্রম করেছে। সেসময় বিমান চলাচলেরও তেমন কোন ব্যবস্থা ছিল না, কিন্তু তারপরেও ওই ভাই'রাসটি পৃথিবীর প্রায় সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ধারণা করা হয় ওই ইন'ফ্লুয়েঞ্জা ভাই'রাসে পাঁচ থেকে ১০ কোটি মানুষের মৃ'ত্যু হয়েছিল। এই ভাই'রাসটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে সময় নিয়েছিল ৬ থেকে ৯ মাস। আর বর্তমানে, যখন আমরা মাত্র একদিনেই সারা পৃথিবী ঘুরে আসতে পারি, সেখানে তো এই ভাই'রাস আরো অনেক দ্রুত গতিতেই ছড়িয়ে পড়তে পারে। সূত্র: বিবিসি বাংলা