শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:১৪:৪৪

উপহার এবার দুই জোড়া পা!

উপহার এবার দুই জোড়া পা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : খুশির দিনে সন্তানদের খুশি রাখতে মা-বাবা নানা ধরনের জিনিস উপহার দিয়ে থাকেন। মা-বাবার উপহার পেয়ে সন্তানরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। বড়দিনে হন্তদন্ত হয়ে সন্তানদের জন্য বাবা খুঁজে নিয়ে এলেন তাদের জীবনের সেরা উপহার। একেবারে ব্যতিক্রমী উপহার। বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে সন্তানের জন্য আনতে হলো বেদনাদায়ক এক বিশেষ উপহার। যে উপহার ওই সন্তানের জীবনে আপাত স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনলেও বাবার চোখে তীব্র কষ্ট হয়ে বারবার দেখা দেয়। ছোটবেলা থেকেই দুই ভাই ফুটবল খেলতে পছন্দ করে। একজন ১১ বছর বয়সী কিয়াম আর অপরজন সাত বছর বয়সী কাল্লুম। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও দুই ভাইয়ের কখনোই ফুটবল খেলা হয়ে উঠেনি। কারণ ছোটবেলা থেকেই দু'জনই অ্যাডামস অলিভার সিনড্রোম নামে একটি জটিল রোগে আক্রান্ত। রোগটি তারা বংশগতভাবে তাদের বাবার কাছ থেকে পেয়েছিল। তার বাবাও ছোটবেলা থেকেই একই রোগে আক্রান্ত। পৃথিবীতে এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা হাতেগোনা ১২৫ জন। সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই হাত এবং পায়ে এ রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত এবং পা থাকলেও থাকে না হাত এবং পায়ের কিছু আঙ্গুল। ৩৫ বছরের জন এবং তার দুই পুত্র ইংল্যান্ডে প্রথম এ রোগে আক্রান্ত। নিজের সন্তানরা যাতে স্বভাবিকভাবে চলাফেরা ও খেলতে পারে সেজন্য তিনি দুই জোড়া সিলিকন প্রসথেটিক পায়ের ব্যবস্থা করেন। বাবার এনে দেয়া উপহার পেয়ে বেজায় খুশি সন্তানরা, সাথে জনও। তবে দুই ভাইয়ের জন্য দুই জোড়া পা কিনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাবাকে। দুই জোড়া প্রসথেটিক পায়ের দাম বেশ চড়া। এর জন্য জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার অফিসিয়াল পেজে একটি ফান্ড খোলা হলে বেশ আর্থিক অনুদান পাওয়া যায়। সেখানে অনেক বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। জন বলেন, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ যে, বড়দিনে উপহারগুলো আমার সন্তানদের জন্য আর কিছুই হতে পারে না। নতুন পায়ের পাতা জোড়া দিয়ে তাদের জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে। সব দুঃখ ও বেদনার অবসান হলো দুই ভাইয়ের নতুন পায়ের পাতা লাগানোর মধ্যদিয়ে। ব্ল্যাচফোর্ড ক্লিনিকে তাদের নতুন পায়ের পাতা জোড়া লাগানো হয়। এ বিষয়ে ব্ল্যাচফোর্ড ক্লিনিকের প্রিন্সিপাল প্রসথেটিক মার্ক লেজার বলেন, প্রায় ২৫ বছর ধরে অ্যাডামস অলিভার রোগের ওপর পড়াশোনা করছি কিন্তু এখন পর্যন্ত তোমরা ছাড়া এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কেউ আসেনি। ২৬ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে