এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এ যেন সত্যিকারের জীবনযো'দ্ধা! ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট থানার বাসিন্দা বাপি ফকির। জন্মের পর থেকেই তা দু’টি পা ও শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অচল। হাতগুলো কোনোভাবে নাড়াচড়া করতে পারে বাপি। উঠে বসতেও পারে না। এমন অবস্থায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ডিহিকলস হাইস্কুল থেকে সে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র মগরাহাট অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইন্সটিটিউশন।
মঙ্গলবার মাধ্যমিকের প্রথম দিন মায়ের কোলে চেপে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছায় বাপি। পরীক্ষা দেয় বেঞ্চে শুয়ে। মা সেরিনা বলেন, রোগ সারাতে বহু হাসপাতালে ছোটাছুটি করেছি। লাভ হয়নি। ইদানিং আবার একপাশ ফিরে শুয়ে থেকে ঠাণ্ডা লেগে একটা কানে শুনতে পাচ্ছে না। চিকিৎসক বলেছেন, কানে যন্ত্র বসাতে ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। বাপির বাবা দর্জির কাজ করেন। এতো টাকা জোগাড় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
মগরাহাট অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইন্সটিটিউশসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুরউদ্দিন গায়েন বলেন, ওই ছাত্রের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা হয়েছে। নিয়ম মেনে ৪৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।