এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ভালোবাসার মানুষটির কাছে সবারই কিছু না কিছু চাওয়া থাকে। তবে অধিকাংশ মেয়েরাই তাদের ভালোবাসার মানুষটি বা প্রিয়তম স্বামীর কাছে সাধারণত ৫টি জিনিসের বেশি প্রত্যাশা করে থাকে। সেগুলো হলো-
১। সম্মান প্রদর্শনের ক্ষমতা:
মেয়ে মানুষ ঘরের অলংকার এবং এদের জন্মই হয়েছে ঘরের কাজের জন্য এ ধ্যান ধারণা অনেক পুরুষই পোষণ করে। কিন্তু মেয়েরা এ ধারণাকে ঘৃণা করে এবং তারা সবসময় স্বামীর কাছ থেকে সম্মান প্রত্যাশা করে। আর সম্মানের সঙ্গেই যুক্ত থাকে সহানুভূতি।
২। ত্যাগী ও দয়ালু স্বভাব:
ত্যাগী, দয়ালু স্বভাবের পুরুষকে মেয়েরা অনেক বেশি পছন্দ করে। যে পুরুষ অন্যদের সাহায্য করে, দুস্থদের পাশে দাঁড়ায়, মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ভালো না বেসে উপায় থাকে না। আর যে মানুষটা বাইরের মানুষকে এত ভালোবাসে, ঘরের মানুষের জন্যও তার মমতার কমতি থাকবে না এটা সহজেই বোঝা যায়।
৩। পরিবারের জন্য গভীর ভালবাসা
সব মানুষের কাছেই নিজের পরিবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটা মেয়েই চায় তার স্বামী তার পরিবারকে ভালবাসুক এবং প্রাপ্য সম্মান দিক। এটা আসলে কোনো ভালোবাসার পাল্লা নয়, এটা মেয়েদের একটি সহজাত চাওয়া। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিয়ের পর একটা মেয়েকে নতুন পরিবেশে, নতুন পরিবারে মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু পুরুষকে তেমন কিছুই করতে হয় না। তাই সকল পুরুষেরই উচিত স্ত্রীর পরিবারকে সম্মান করা এবং মন থেকে ভালোবাসা।
৪। ক্যারিয়ার
অন্য সব বৈশিষ্ট্য এবং গুণের সঙ্গে পতি সাহেবের ক্যারিয়ারটাও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক ভালো গুণের অধিকারী পুরুষও যদি সারাদিন সিনেমা দেখে এবং পপকর্ন খায় তবে তার সংসার অচল হয়ে পড়বে। সবচেয়ে বড় কথা সংসারে স্বচ্ছলতা না থাকলে ভালোবাসাও পালিয়ে যায়। তাই মেয়েরা বিয়ের আগে ও পরে বারং বার তার স্বামীর ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করে।
৫। ধৈর্যশক্তি
যখন কোনো মেয়ে কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করে, তখন মানুষটি ধৈর্যশীল কিনা এ ব্যাপারটি পরীক্ষা করে দেখে। কারণ সংসার সুখের জন্য ধৈর্য ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। সংসার কোনো যুদ্ধক্ষেত্র নয় যে এক পক্ষ কথার ঝাঁপি খুললেই আর এক পক্ষ তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। সকল কঠিন মুহূর্তে এক পক্ষকে ধৈর্য ধরতেই হয়। আর যে সকল মেয়েরা একটু অস্থির প্রকৃতির এবং অল্পতেই উদ্বিগ্নতায় ভোগে তারা ধৈর্যশীল পুরুষকেই স্বামী হিসাবে চায়।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/এমএস