 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সবচাইতে বড় এবং শ্রষ্ঠমানের ক্যাভিয়ার খামারের উদ্ধোধন করেছে ইরান। এই খামরটি হবে কাস্পিয়ান সাগরের তীরে মধ্যপ্রাচ্যের সবচাইতে বড় এ স্টার্জন খামার। স্টার্জন মাছের ডিম থেকে ক্যাভিয়ার দিয়ে তৈরি বিশ্বের অন্যতম দামি খাবার হিসেবে এই খাবার টিকে গণ্য করা হয়। এই কারণে ক্যাভিয়ারকে ‘কৃষ্ণ সোনা’ নামে অভিহিত করা হয়। খামারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসাক জাঙ্গাগিরি।
ইরানের উত্তরাঞ্চলীয় মাজানদারান প্রদেশের জুয়েবারের ওই জলজ খামার থেকে প্রতি বছর ৩০ টন ক্যাভিয়ার উৎপাদন করা হবে। এ ছাড়া, সেখান থেকে পাওয়া যাবে দুই হাজার টন স্টার্জন মাছ। ক্রেতাদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত মজাদার এ মাছের বাজারদরও বেশ চড়া। পাঁচ হেক্টর জমি নিয়ে গঠিত কারে-বুরোন খামারটিতে ৯৬টি জলাশয় রয়েছে।
কাস্পিয়ান সাগর থেকে সেখানে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেরা ক্যাভিয়ার উৎপাদনকারী মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন অঞ্চল হিসেবে কাস্পিয়ান সাগরকে বিবেচনা করা হয়। ব্যাপক ও অবৈধ শিকারের কারণে কাস্পিয়ান সাগরের স্টার্জন প্রজাতির মাছ হুমকির মুখে পড়েছে। সাগরের ডাইনোসর হিসেবে পরিচিত এ মাছ এখন বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় স্থান পেয়েছে।
স্টার্জন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কনভেনশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড এনডেনজারড স্পিসিস বা সিআইটিইএস। ফলে এখন বৈধ সব ক্যাভিয়ারই খামারে উৎপাদিত হয়। রাজ-রাজা এবং খাদ্য বিলাসীদের রসনা তৃপ্তিদায়ক গুণেমানে এবং স্বাদে সেরা ক্যাভিয়ার উৎপাদনে শত শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করছে ইরান।
গত বছর ইরানের খামারগুলোতে ১.৫ টন ক্যাভিয়ার এবং এক হাজার টন স্টার্জন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। বাজারে ইরানের খামারে উৎপাদিত এক কিলোগ্রাম ক্যাভিয়ারের খুচরা মূল্য ১৭০০ ইউরো। ইরান এখন ১০০ টন ক্যাভিয়ার এবং ১০ হাজার টন স্টার্জন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/এমএস