মোবাইলে ৯ টিপলেই সংকেত পাবে পুলিশ
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিপদে পড়লে ১০০ নয়, জাস্ট চেপে ধরে রাখতে হবে মোবাইলের ৯ বোতামটা। তাতেই বিপদসংকেত পৌঁছে যাবে পুলিশ ও আপনার কাছের মানুষদের কাছে। পুলিশ ছাড়া নিজের পছন্দমতো আরো নয়জনকে বেছে নেয়া যাবে, যাদের কাছে পৌঁছে যাবে সেই বিপদসংকেত। মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সামনের বছর মার্চ থেকে এ পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
বেশ কিছুক্ষণ টানা চেপে ধরে রাখতে হবে মোবাইলের ৯ বোতামটি। তাতেই সমস্যার পড়া ব্যক্তি কোথায় আছেন, সেই খবর পৌঁছে যাবে পুলিশের কাছে। ভবিষ্যতে মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলোতে এ ব্যবস্থা করা হবে। দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্চে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারক ও মোবাইল অপারেটরদের এক মঞ্চে রেখে এ পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী মানেকা গান্ধীর ব্রেনচাইল্ড এ অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে নেয়া হয়ে হয়েছে। মানেকা গান্ধীর মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ডাকে বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডার ও মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিপদ সংকেত পাঠাতে আলাদা বোতাম তৈরি হবে, নাকি একটা অ্যাপ আনা হবে, এ বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিলেন বৈঠকের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সরকারের তরফে সার্ভিস প্রোভাইডার ও মোবাইল প্রস্তুতকারকদের জানিয়ে দেয়া হয়, অ্যাপ কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। কারণ বেশির ভাগ মানুষ, বিশেষত গ্রামীণ এলাকার মানুষের অনেকেরই স্মার্টফোন নেই।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যাদের মোবাইল রয়েছে তা আপগ্রেড করিয়ে নিলেই এ পরিষেবা পাওয়া যাবে। নতুন হ্যান্ডসেটে এ ব্যবস্থা করেই দেয়া হবে। আর যাদের স্মার্টফোন রয়েছে, তারা ফোনে প্যাচ অনলাইন সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে পারেন। বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির আউটলেটে গেলে তা বিনামূল্যে ইনস্টল করে দেয়ার ব্যবস্থাও রাখা হবে।
সরকারি এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, মোবাইল হ্যান্ডসেটটি এমনভাবে কনফিগার করা হবে, যাতে ৯ বোতামটি চেপে ধরলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও ব্যক্তির পরিবার-বন্ধু-বান্ধবদের কাছে বার্তা চলে যায়। পুলিশ ছাড়া নিজের পছন্দমতো আরো নয়জনকে বেছে নেয়া যাবে, যাদের কাছে পৌঁছে যাবে সেই বিপদসংকেত।
২৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�