ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধান!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আপনি যদি ভেবে থাকেন ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কমালেই আপনি নিরাপদ, তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন৷ বরং কার্ডের সুরক্ষার দিকে বেশি নজর দিলে শেষপর্যন্ত লাভবান আপনিই। আপনার কাছে হয়তোবা চার-পাঁচটি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে তাই আপনি এই উত্সবের মৌসুমে একটু বেশি চিন্তিত৷ চিন্তিত এই কারণে, যে বেহিসেবি খরচ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা৷ তাই আপনি আগে ভাগেই মনস্থির করে নিয়েছেন অন্তত কয়েকটা কার্ড এবার ফেরত দেবেন৷ কিন্তু আপনি যদি কার্ড ব্যবহারের কায়দা আর সেটা সুরক্ষার বন্দোবস্ত ঠিকঠাক করেন তাহলে চিন্তার কোনও কারণই নেই৷ এ ক্ষেত্রে কী করা উচিত সেটা জেনে নিন৷ টাইমস অপ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা যায়।
প্রতারক থেকে সাবধান : যখন কার্ড ব্যবহার করবেন, তখন লক্ষ্য রাখুন আপনার ঘাড়ের উপর দিয়ে কেউ আপনার কার্ড নম্বর মুখস্থ করার চেষ্টা করছে কিনা অথবা মোবাইল ফোনে আপনার কার্ডের ছবি তোলার চেষ্টা করছে কিনা৷ এর বাইরেও প্রতারকেরা কার্ডের ডেটা নকল করার নতুন-নতুন উপায় বাহির করেছে৷ কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপে যে তথ্য থাকে সেই তথ্য তারা হাতিয়ে নিয়ে তৈরি করে ফেলে নতুন কার্ড৷ যখন অনলাইনে আপনি কিছু কেনাকাটা করবেন তখন নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার কম্পিউটার ভাইরাস কিংবা ম্যালওয়্যার আক্রান্ত কিনা৷ ই-রিটেলারের সিকিউরিটি সার্টিফিকেট দেখে নিন৷ আর যদি সেটা দেখতে না পান, তাহলে পোর্টালকে মেল করে জেনে নিন৷
কার্ডের অপব্যবহার বন্ধকরুন : আপনার দিক থেকে অথবা অন্য দের কাছ থেকে আপনার কার্ডের ডেটা যাতে হস্তান্তরিত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন৷ একটু অসতর্ক হলেই ডেটা অন্যের হাতে চলে যাবে৷ অনেক পরে আপনি মেল কিংবা এসএমএসের মাধ্যমেও জানতে পারবেন আপনার কার্ড ব্যবহার করে এমন কিছু কেনা হয়েছে যা আপনি কেনেননি৷ এরকম যদি ঘটে তাহলে প্রথমেই জানিয়ে রাখুন আপনার ব্যাংককে৷ কার্ড ব্লক করে দিন যাতে আর কোনও অপব্যবহার কার্ডের না হয়৷ সাধারণত ব্যাংক ২৪ ঘণ্টা 'জিরো লায়াবিলিটি' বহন করে যে কোনও ট্র্যানজ্যাকশনের৷ এমন যে কোনও ধরনের ফ্রড কেসে আপনি প্রথমেই চেয়ে নেবেন চার্জ স্লিপের কপি৷ সেই কপিতে যদি আপনার সই না মেলে তাহলেই আপনার ব্যাংকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে অনেক সুবিধে হবে৷ এই কারণেই অনেকে কার্ডের পিছনে নিজের সই রাখতে চান না৷ এর বাইরে আরও এক সুরক্ষার পদ্ধতি হল কার্ডের সিভিভি নম্বর মুখস্থ করে রাখা৷
নিজের দায়িত্ব কতটুকু : নিয়মিত ট্র্যানজ্যাকশনের সমস্ত তথ্য যাচাই করুন৷ যদি তাতে কোনও গলদ নজরে পড়ে তত্ক্ষণাত্ খবর দিন সংশ্লিষ্ট সংস্থায়৷ এটিএম স্লিপ সব সময় ছিঁড়ে ফেলবেন৷ পুরনো গ্যাজেট বদল করলে তার সমস্ত মেমরি এবং যাবতীয় ডেটা মুছে ফেলবেন৷ ডিজিটাল স্যাভি হয়ে উঠতে হবে আপনাকে৷ অনলাইনে কেনা-কাটার সময় ভার্চুয়াল কি-বোর্ডে পাসওয়ার্ড টাইপ করবেন৷ মাঝে মধ্যেই পাসওয়ার্ডে পরিবর্তন আনুন৷ এবং ভিন্ন ভিন্ন ওয়েব সাইটে গেলে এই আলাদা-আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে ভালো৷
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�