শুক্রবার, ১৫ মে, ২০২০, ১১:০২:৪৬

এই ভয়ঙ্কর 'নাগ'-র এক ছোবলেই গুঁড়িয়ে যাবে শত্রু ট্যাঙ্ক

এই ভয়ঙ্কর 'নাগ'-র এক ছোবলেই গুঁড়িয়ে যাবে শত্রু ট্যাঙ্ক

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মা'রা'ত্মক এই সাপের একটা ছো'বলেই নি'শ্চিত মৃত্যু। ঠিক তেমনই এক অ'স্ত্র রয়েছে ভারতের অ'স্ত্রাগারে। বিশাল প্রান্তর দিয়ে যদি হানা দেয় শ'ত্রুপক্ষের ট্যা'ঙ্ক, তা হলে রু'খে দেবে এই অ্যান্টি-ট্যা'ঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) 'নাগ'। ২০১৫ সালে ভারতীয় বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে গিয়েছিল নাগ ক্ষে'পণা'স্ত্র। এখন তা অনেকটাই উন্নত। 

২০১৯ সালের মধ্যে তৃতীয় প্রজন্মের নাগ ক্ষে'পণা'স্ত্র বানানো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা, জানিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের একটি সূত্র। বেঙ্গালুরুতে 'অ্যারো ইন্ডিয়া ২০১৯' শোয়ে, ভারতের প্রতির'ক্ষা গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) মি'সাইল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক সিস্টেমের ডিরেক্টর জেনারেল এমএসআর প্রসাদ বলেন, মে-জুন মাসেই পরীক্ষামূলক ব্যবহার চূড়া'ন্ত হবে তৃতীয় প্রজন্মের এই ক্ষে'পণা'স্ত্রর। খুব দ্রুত এটি ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে, জানান তিনি।

এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড ক্ষে'পণা'স্ত্র ছোড়ার পর নি'র্ভু'ল ভাবে নিজেই খুঁ'জে নেয় লক্ষ্যবস্তুকে। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসা'ইল (এটিজিএম) নাগকে ভূমি এবং আকাশ, দুই জায়গা থেকেই ছোড়া যায়। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্কই মূলত এই ক্ষে'পণা'স্ত্রের লক্ষ্য। লঞ্চিং প্যাড থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে থাকা ট্যাঙ্ককেও নিমেষে গুঁ'ড়িয়ে দিতে পারে নাগ।

পাকিস্তানের সঙ্গে যদি স'ঙ্ঘা'ত হয়, তা হলে পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে, বিশেষ করে রাজস্থানের বিরাট মরু অঞ্চল দিয়ে বড়সড় ট্যাঙ্ক হা'নার আশ'ঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ট্যাঙ্ক-বিধ্বং'সী ক্ষে'পণা'স্ত্র তাই ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তজুড়ে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, ছোট ও মাঝারি পাল্লার আগ্নে'য়া'স্ত্র মোতায়েন করেছে পাকিস্তান, সূত্র বলছে এমনটাই। পা'ল্টা মোকা'বিলায় তাই নাগকে প্রস্তুত রাখছে ভারতও।

আশির দশকে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের হাত ধ'রে এই ক্ষে'পণা'স্ত্র তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ডিআরডিওর কাছ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী আপাতত ৮ হাজার নাগ কিনবে, প্রথমে ৫০০টি নাগের জন্য 'অর্ডার'ও দিয়েছে তারা। একেবারে গোড়ায় রাতের পরীক্ষায় নি'র্ভু'ল লক্ষ্যে আঘা'ত হা'নতে পারলেও দিনের বেলায় মরুভূমির মা'রা'ত্মক তাপমাত্রায় ব্য'র্থ হচ্ছিল নাগ। সেই কারণেই এই ক্ষে'পণা'স্ত্রের প্রযুক্তি আরও অত্যাধুনিক করার কাজে হাত দেয় ডিআরডিও। 

আরও শক্তিশালী এবং আধুনিক ইনফ্রারেড সিকার লাগানো হয় নাগে। এই নতুন সংস্করণের নাম দেওয়া হয় 'প্রসপিনা'। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের মরু অঞ্চলে চন্দন ফিল্ড ফায়ারিং রে'ঞ্জে দিনের বেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ছোড়া হয় নাগ। সে পরীক্ষায় প্রসপিনা নি'র্ভু'ল লক্ষ্যে আ'ঘা'ত হেনেছে। এই ভয়ঙ্কর ট্যাঙ্ক-বিধ্বং'সী ক্ষে'পণা'স্ত্রকে বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে খুব তাড়াতাড়ি।

নাগ ক্ষে'পণা'স্ত্র বহন করবে 'নামিকা' কেরিয়ার। একসঙ্গে ১২টি ক্ষে'পণা'স্ত্র বহন করতে সক্ষম এটি। ডিআরডিও এমন একটি নাগ ক্ষে'পণা'স্ত্রও তৈরি করছে, যেটির ওজন মাত্র ১৪ কিলোগ্রাম। একে নাগের 'মানব বহনক্ষম সংস্করণ' বলা হচ্ছে। অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসা'ইল (এটিজিএম) তৈরি করেছে ভারত ডায়ানামিক্স লিমিটেড। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সুবাদে নাগ যে ভাবে বিধ্বং'সী আ'ঘা'ত হা'নতে শুরু করেছে, তাতে পাকিস্তানের স্ব'স্তি উধাও হতে শুরু করেছে। সূত্র : আনন্দবাজার

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে