এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন। তাই ২০ কিলোমিটার লম্বা একটা টাওয়ার। উদ্দেশ্য , মহাকাশ অভিযানের খরচ কমানো। টাওয়ারের ছাদ থেকে সাঁসাঁ করে উড়ে যাচ্ছে সব মহাকাশ যান। এটা কল্পবিজ্ঞানের কথা নয়, এবার বাস্তেবই এমন একটি টাওয়ার তৈরির প্রস্তাবই দিয়েছে একটি কানাডিয়ান স্পেশ কোম্পানি।
গত মাসেই কানাডার থোথ টেকনোলজি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ‘স্পেস এলিভেটর’ এর পেটেন্ট জোগাড় করে ফেলেছে। এই পরিকল্পনা সত্যি হলে স্পেস এলিভেটরটিই হবে পৃথিবীর দীর্ঘতম বিল্ডিং। এটি দুবাইয়ের ৮২৯ মিটারের বুর্জ খালিফার থেকেও লম্বায় ২০ গুণ বেশি হবে।
এমনকি ছাপিয়ে যাবে তথাকথিত ‘আর্মস্ট্রং লিমিট’কেও (মাটি থেকে আকাশের দিকে লম্বায় ১৯ কিলোমিটার লম্বার পর এমন একটা পয়েন্ট যেখানে বায়ুর চাপ খুব কম হওয়ার জন্য বডি ফ্লুইড ফুটতে শুরু করে)।
স্পেস এলিভেটর টাওয়ারের সেগমেন্টেড এলিভেটর কোর স্ট্রাকচার থাকবে, প্রতিটি সেগমেন্টে অন্তত একটি করে নিউমেটিক্যালি চাপযুক্ত কক্ষ থাকবে। এই প্রতিটি কক্ষ বাতাস বা অন্য কোনো গ্যাস দিয়ে ভর্তি থাকবে।
উপর-নীচ করার জন্য বিল্ডিংটির বাইরের স্ট্রাকচারে থাকবে এলিভেটর গাড়ি বা ভিতরে থাকবে একটি খাদের মত একটা অঞ্চল। সম্পুর্ণ স্ট্রাকচারটি জাইরোস্কোপিক ও অ্যাকটিভ কন্ট্রোল মেশিনারি দিয়ে স্থিতাবস্থায় আনা হবে।
থোথ টেকনোলজির মতে, এই বিল্ডিংটি থেকে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে সহজেই মহাকাশযান ছাড়া সম্ভব হবে। ব্যপক হারে জ্বালানির সাশ্রয় হবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই বিল্ডিংটির ছাদকে মহাকাশযানের ওঠা-নামার জন্য লঞ্চিং প্যাড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তাদের বিশ্বাস, এতে মহাকাশ অভিযানের খরচ অন্তত এক-তৃতীয়াংশ কমে যাবে।