এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অধিকাংশ কাজই অনেকে কম্পিউটার ও মোবাইলের মাধ্যমে করে থাকে। আবার অবসরের সঙ্গী হিসেবে মোবাইলের জনপ্রিয়তার জুড়ি নেই। কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে দীর্ঘসময় ধরে কাজ করলে কিংবা টানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে, তা চোখের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এর ফলে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি, চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়া ছাড়াও মাথা ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
তবে এর থেকে পরিত্রাণের উপায়ও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে তাদের পরামর্শ হচ্ছে-
১. যথাযথ আলোর পরিবেশে কম্পিউটার বা মোবাইলে কাজ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনের বেলায় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের সময় মনিটরের উল্টোদিকে মনিটরে আলো প্রতিফলিত হয় এমন দরজা জানালা বা লাইট বন্ধ রাখুন। কম্পিউটারটি এমন স্থানে ব্যবহার করুন যেখান থেকে মনিটরে আলোর প্রতিফলন না ঘটে। আবার পুরোপুরি অন্ধকার ঘরেও কম্পিউটার বা মোবাইল চালবেন না।
২. কম্পিউটার বা মোবাইলে কাজ করার সময় মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলা ভালো উপায়। এতে করে চোখে আদ্রতার পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে এবং শুস্কতা সৃষ্টি হয় না। অথচ স্ক্রিনের কারণে আমরা চোখের পলক কম ফেলি, এমনটি চোখের জন্য ক্ষতিকর।
৩. স্ক্রীনের উজ্জ্বলতা সহনীয় মাত্রায় রেখে কাজ করা উচিৎ। উজ্জ্বলতা বেশি হলে চোখের ওপর বেশি চাপ পড়ে এবং অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়।
৪. কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সব সময় পর্দার সঙ্গে আই-লেভেল উচ্চতার সামঞ্জস্যতা রাখতে হবে। বিষয়টি চোখের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৫ চোখে শীথিল এবং আরামদায়ক অনুভূতির ক্ষেত্রে সেরা রঙ বিবেচনা করা হয় সবুজ রঙকে। কাজের ফাঁকে জানালা দিয়ে বাইরের প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে তাকাতে পারেন। সেটা না থাকলে চোখ বুজে সবুজকে কল্পনা করুন।
৬. স্ক্রিনে পড়া বা লেখার জন্য ছোট ফন্ট ব্যবহার করবেন না। চোখের জন্য আরামদায়ক ফন্ট নির্বাচন করুন। কারণ ছোট ছোট লেখা চোখের ওপর বেশি চাপ সৃষ্টি করে।
৭. দু’হাতের তালু একটি অপরটির সঙ্গে ঘর্ষণ করে গরম করে তুলুন। তারপর আপনার হাতের তালু চোখের উপর রাখুন কমপক্ষে ১ মিনিট। এটি ক্লান্ত চোখে আরামের আবেশ আনতে সহায়তা করবে।
৮. কম্পিউটারের সামনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করার সময় চোখ সুরক্ষার খুব উপযোগী একটি উপায় হচ্ছে, ২০-২০-২০। প্রতি ২০ মিনিট পর পর কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিন এবং কমপক্ষে ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর ওপর দৃষ্টিপাত করুন অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য। চোখের বিশ্রামের জন্য ২০-২০-২০ নিয়মটি মেনে চললে চোখে যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে।