শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০২০, ১০:১৮:৩৯

আমের গুণের শেষ নেই, নির্ভয়ে খান এই শর্তগুলো মেনে

আমের গুণের শেষ নেই, নির্ভয়ে খান এই শর্তগুলো মেনে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: আম খেতে ভালবাসেন অনেকেই। অথচ রয়েছে হাজার সঠিক ও ভুল ধারণাও। কেউ মনে করেন ডায়াবেটিসে আম খেতে পারে না, কেউ মনে করেন বেশি আম খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে, ঠিক কতটা আম খাওয়া উচিত, আমের যাবতীয় দোষ-গুণ জেনে নিন। 

আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০ এর বেশি। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কার্বোহাইড্রেটের সূচক। যত কম গ্লাইসেমিক খাবার খাওয়া হবে ততই শরীরের ভাল। ডায়াবেটিসের রোগী আম খেতে পারেন না, এই ত'থ্য ঠিক নয়। তবে দুপুরে বা রাতে পেট ভরে খেয়ে আম খেলে তার র'ক্তে শর্করার মাত্রা বাড় আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫০ এর বেশি। 

সেক্ষেত্রে ন'জরে রাখতে হবে শরীরে জমা অতিরিক্ত ক্যালরি যেন ঝ'রিয়ে ফে'লা যায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন পাকা মিষ্টি আম একজন ডায়াবেটিস রোগী দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম খেতে পারেন। মানে প্রতিদিন একটি ছোট আম বা অর্ধেক আম খাওয়া যাবে। 

একটি সাধারণ হিমসাগর বা ল্যাংড়া আমের খোসা ও আঁটি ছা'ড়িয়ে নিলে প্রায় ২০০ গ্রাম অবশি'ষ্ট থাকে। এতে ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ১৫০। শর্করা ৩৩.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম, আয়রন ২.৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৫০০০ মাইক্রোগ্রামের ওপর। আঁশ আছে প্রচুর, ৭ গ্রামের বেশি। পটাশিয়াম ১৯৬ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৩০২ মিলিগ্রাম। এইটা বুঝে নিয়ে ওজন বুঝে ভোজনই ভালো। 

এছাড়া আমের মধ্যে আছে অ্যা'ন্টিঅক্সি'ডেন্ট। ক্যান্সার প্রতিরো'ধে-এর ভূমিকা অনন্য। লোমকূপের গোড়া পরিষ্কার রাখে আম। ফলে ত্বক সুন্দর থাকে নিয়মিত আম খেলে। আম চোখের জন্যও ভাল। আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন রাতকানা রোগ থেকে র'ক্ষা করে। 

আমে পাওয়া যায় টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড যা শরীরে অ্যালকালাইন বা ক্ষার ধ'রে রাখতে সহায়তা করে। আমে রয়েছে অজস্র এনজাইম যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। প্রতিটি আমেই কমবেশি প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস থাকে, রোগ প্রতিরো'ধ ক্ষমতা বাড়তে যার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সূত্র : নিউজ এইটটিন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে