স্পোর্টস ডেস্ক: বর্তমান বিশ্বে ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। বলা যারা বিশ্বে প্রচলিত যতগুলো খেলা রয়েছে এর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে একটি খেলা্র নাম ক্রিকেট। এখেলার মাঠে পিছিয়ে নেই মুসলিম দেশগুলোও। ক্রমেই তারাও প্রভাবশালী হয়ে উঠছে। এর মধ্যে পাকিস্তান তো আগে থেকেই ক্রিকেট অঙ্গনের রাজা। ক্রিকেটের এই বিশাল সাম্রাজ্যে অসংখ্য ক্রিকেটার রয়েছে।
অনুসন্ধানে যতদূর জানা গেছে, এর মধ্যে মাত্র তিন জন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা কোরআনে হাফেজ। সেই তিন জন ক্রিকেটারই পাকিস্তানি খেলোয়াড়।তারা কোরআনকে বুকে ধারণ করে ক্রিকেটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তারা জাতীয় দলে নিয়মিত খেলছেন। এই তিন হাফেজে কোরআনের একজন হলেন সাদ নাসিম।সাদ নাসিম পাকিস্তানের একজন উদীয়মান ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য নাসিম ডানহাতি মাঝারি সারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। এছাড়াও তিনি লেগব্রেক স্পিন বোলিংয়েও পারদর্শী।
ইতোমধ্যেই ভাল খেলে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। রাজা হাসান: রাজা হাসানও পাকিস্তানের একজন উদীয়মান ক্রিকেটার। রাজা হাসান স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স স্পিন বোলার। সেপ্টেম্বর, ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টুয়েন্টি ২০ আন্তর্জাতিকে তার অভিষেক ঘটে। ১০ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিরুদ্ধে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে।এই কোরআনে হাফেজের সুললিত কণ্ঠে তেলাওয়াত সবাইকে মুগ্ধ করে।
সরফরাজ অাহমেদ খান, তিনিও একজন কুরআনে হাফেজ।পাকিস্তানি উইকেট-কিপার ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদ। ৪ জানুয়ারি, ২০১০ তারিখে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। তাঁর সুললিত কণ্ঠের তেলাওয়াতও সবাইকে মুগ্ধ করে। এই তিন হাফেজে কোরআন ক্রিকেটারই ইসলামী অনুশাসন মেনে ক্রিকেটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
তারা নিয়মিত নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত করেন। এমন কি খেলার মাঠেও তারা জামায়াতে নামাজ পড়ে বিশ্ববাসির দৃষ্টি কেড়েছেন। রমজান মাসে রোজা রেখেও তারা খেলছেনে। খেলার মাঠে তাদের নামাজ, ইফতার ও কোরআন তেলাওয়াত অন্য ধর্মের খেলোয়াড় দর্শকদেরকে মুগ্ধ করেছে। এ জন্য তারা প্রসংশিত হয়েছেন।
এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ