রবিবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০১৬, ০১:৪৯:৪৫

মাত্র ১৫টি জিনিস মানলে দাম্পত্য টিকবে আজীবন

মাত্র ১৫টি জিনিস মানলে দাম্পত্য টিকবে আজীবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি সম্পর্ক আজীবন টিকিয়ে রাখা বোধহয় পৃথীবির সবচেয়ে কঠিন কাজ। আর এই কঠিন কাজটিই সবাইকে করতে হয়। তাই কত সহজে আপনি দাম্পত্য জীবনকে আনন্দের করতে পারেন, সুখের হতে পারে এবং আজীবন টিকিয়ে রাখতে পারেন সে বিষয়ে জানা দরকার। এক্ষেত্রে খুব বেশি নয়, মাত্র ১৫টি বিষয় ভালোভাবে মানলে আপনি একটি ভালো দাম্পত্য জীবন পেতে পারেন। তবে এজন্য দৈনন্দিন জীবনে সামান্য কয়েকটা পরিবর্তন, ব্যস, জাদুমাখা সেই সব দিন ফিরে এল বলে। তা হলে জেনে নেয়া যাব, সেই মন্তগুলো কি? ১. যে যার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান সকাল সকাল। রাতে আবার দেখা। সারাটা দিন তাঁর কেমন কাটল, জিজ্ঞেস করতে ভুলবেন না যেন। আপনার কাছে তাঁর সারা দিন কী ভাবে কেটেছে, এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা তাঁকে বুঝতে দিন। ২. দাম্পত্য সম্পর্কে কলহ হবেই। একে সিরিয়াসলি না নিয়ে উপভোগ করুন। ঝগড়া-ঝাঁটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। তবে চেষ্টা করবেন, দু-জনে একসঙ্গে মাথা গরম না করতে। ৩. আপনার স্বামী বা স্ত্রী যে ধরনের সিনেমা দেখতে ভালোবাসে তা আপনার পছন্দ হয় না। বা ছুটির দিনে তাঁর পছন্দ পার্ক, আর আপনি নাটক দেখতে ভালোবাসেন। ইচ্ছে না হলেও মাঝেমধ্যে ওর সঙ্গে যান না। উনি আপনাকে পাশে পেতে চাইছেন, এই বিষয়টা আপনি নিশ্চয় হারাতে চান না। তবে হ্যাঁ, মাঝেমধ্যে আপনার মতও প্রাধান্য পাবে বৈকি। ৪. জীবন থেকে সারপ্রাইজ হারিয়ে যেতে দেবেন না। আপনার সঙ্গী চকোলেট চিম আইসক্রিম ভালোবাসেন? রাতে মাঝে মাঝে তাঁর পছন্দের ডিশ খাইয়ে অবাক করে দিন। দেখবেন জীবন আবার নতুন ছন্দে বইবে। ৫. অফিস যাওয়া এবং অফিস থেকে ফিরে কিস করতে ভুলবেন না। বেরনোর আগে ছোট্ট একটা চুমু আপনার সারা দিনের সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। ঠিক তেমনই রাতে বাড়ি ফিরে আগে তাঁকে হালকা করে কিস করে নিন। দেখবেন সারা দিনের ক্লান্তি নিমেষে উধাও। ৬. ছুটির দিনের বিকেলে হাতে কোনও কাজ নেই। প্রিয় বন্ধু ডিনারে ডাকছে। বন্ধুকে না বলে সময় দিন আপনার সঙ্গীকেই। মাঝে মাঝে কোনও কাজ ছাড়াই নিজেরা অলস সময় কাটান। পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যাবে। ৭. আপনার স্বামী বা স্ত্রীর পরিবারকে নিজের পরিবারের মতো গুরুত্ব দিন। তাঁর বাবা-মার খোঁজখবর নিন। আপনার সঙ্গীরও ভালো লাগবে। ৮ I love you বলতে ভুলবেন না। এই তিনটি শব্দ বরাবর ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ৯. আপনার স্বামী বা স্ত্রী অসুস্থ হলে তাঁর খেয়াল রাখুন। অসুখ হলে সাধারণত মানুষ মানসিক ভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েন। সেই সময় তাঁর যত্ন নিন, আপনার প্রতি তাঁর আস্থা বাড়বে। ১০. আপনার সঙ্গী অফিসে রয়েছেন। এই সময় মোটেই তাঁকে ঘরের কোনও সমস্যার কথা বলে বিরক্ত করবেন না। কাজের সময় তাঁকে কাজ করতে দিন। চেষ্টা করুন নিজের সমস্যার সমাধান করার। ১১. আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়ে অন্যের সামনে ঠাট্টা-ইয়ার্কি করবেন না। উনি আপনার জীবনসঙ্গী, আপনার পাঞ্চলাইন নন। ১২. সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন। কোথাও একসঙ্গে যাওয়ার আছে? সময়ের আগেই তৈরি হয়ে নিন। দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে কারোরই ভালো লাগে না। ১৩ বিকেলে স্কুলের বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার প্ল্যান আছে? আপনার সঙ্গী জানেন তো? তাঁকে না জানিয়ে কিছু করবেন না। অযথা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হবে। ১৪. আপনার সঙ্গী ফোন করেছিলেন, খেয়াল করেননি? এখনই ফোন করে খবর নিন। মেসেজ করলেও জেনে নিন, কী হয়েছে। তিনি বুঝবেন যে আপনার কাছে তাঁর গুরুত্ব কতটা। ১৫. কোথাও বেড়াতে গিয়ে ঝগড়া করবেন না please। অফিসের ব্যস্ত সময়ের ফাঁকে বেড়াতে যাওয়া এমনিতেই প্রায় হয় না। সেখানে গিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করে ভালো সময়টা নষ্ট করলে পরে পস্তাতে হবে। ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে