ভূমিকম্প নিয়ে ভয়ানক ১৭টি তথ্য
এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আজ সোমবার সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি অঞ্চলে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। আসুন এমন সময় জেনে নিই ভূমিকম্প নিয়ে দশটা জানা অজানা তথ্য। এই তথ্য গুলো জিনিউজের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন গবেষক-পার্থ প্রতিম চন্দ্র। আর সেই তথ্যগুলো এমটিনিউজ ২৪ এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:-
১) প্রতি ৩০ সেকেন্ডে দুনিয়ার কোথাও না কোথাও ভূমিকম্প হচ্ছে। এটা আলাদা কথা কি মানুষ সেগুলোর সব টের পাচ্ছে না। তবে রিখটার স্কেলে দুই মাত্রার কম ভূমিকম্প মানুষ টের পায়না। রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার থেকে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পে মাটি কেঁপে ওঠে।
২) ভূমিকম্পের ফলে আগ্নেয়গিরি জেগে উঠে অগ্ন্যুত্পাত হতে পারে।
৩) সাত বা তার থেকে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পে গোটা একটা শহর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
৪) বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল চিলিতে ১৯৬০ সালে। রিখটার স্কেলে চিলির সেই ভূমিকম্পের মাত্র ছিল ৯.৫।
৫) দুনিয়ার সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল চীনে। ১৫৫৬ সালে। ৮ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল এই ভূমিকম্পে।
৬) ১৯৮৫ সালে মেক্সিকো সিটিতে ৮ মাত্রার ভয়ানক ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পে মেক্সিকোর এক হাসপাতাল ভেঙে পড়ে। এক সপ্তাহ সেই হাসপাতালের ভিতর কেউ ঢুকতে পারেননি। প্রায় আটদিন পর উদ্ধারকারী দল সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকজন সদ্যোজাত শিশুকে উদ্ধার করে। এক সপ্তাহ ধরে সেইসব সদ্যোজাত শিশুরা কোনো খাবার বা কোনও মানুষের সান্নিধ্য পায়নি। এরপরেও কিভাবে শিশুরা বেঁচে ছিল সেটাই আশ্চর্যের বিষয়।
৭) ভূমিকম্প নিরূপক যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছিল দুই হাজার বছর আগে। তৈরি করেছিলেন চীনের বিজ্ঞানী ঝ্যাং হ্যাং।
৮) ১৮৮১ সালে ১৬ ডিসেম্বর এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে মিসিসিপি নদীর একটা অংশ পিছন দিকে বইতে শুরু করে।
৯) বিশ্বে প্রতি বছর ৫ লক্ষ ভূমিকম্প রিখটার স্কেলে ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে মাত্র এক লক্ষ আমরা অনুভব করতে পারি। তাদের মধ্যে ১০০টা ভূমিকম্প ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ি থাকে।
১০) কিছু কিছু প্রাণী নাকি ভূমিকম্প আগেই টের পায়। তবে সম্প্রতি গবেষণায় জানা যায়, মানুষও আগে থেকে ভূমিকম্প টের পেতে পারে। এর টের পাওয়ার কারণ হচ্ছে মাটির তলার কিছু গ্যাস পুকুর বা জলাশয়ের পানির মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। মানুষ সে অস্বাভাবিক গন্ধ থেকেই ভূমিকম্পের বিষয়টি টের পায়।
১১) আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার পার্কফিল্ডকে বলা হয় 'পৃথিবীর ভূমিকম্পের রাজধানী'। এখানে একটি ব্রিজ আছে, যেটি দুটি টেকটনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত।
১২) প্রাচীন গ্রিকরা মনে করত ভূমিকম্প হয় তাদের সমুদ্র দেবতা পসিডনের কারণে। রেগে গেলে মাটি ধরে ঝাঁকি দেয় সমুদ্র দেবতা। আবার জাপানি পুরাণে আছে, ন্যামাজু নামের একটি ক্যাটফিশের কারণেই ভূমিকম্প হয়।
১৩) প্রতিবছর ভূমিকম্পে প্রায় আট হাজার মানুষ মারা যায়। গত চার হাজার বছরে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছে ভূমিকম্পে।
১৪) দক্ষিণ গোলার্ধের চেয়ে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে ভূমিকম্প বেশি হয়।
১৫) প্রতি বছর জাপানে দেড় হাজার বার ভূমিকম্প হয়।
১৬) ইনকা সভ্যতার ভাস্কর্য এমনভাবে তৈরি হয়েছিল যা যে কোনও বড় ধরনের ভূমিকম্প প্রতিরোধ করতে পারে। সেই স্থাপত্য, ভাস্কর্যগুলো বেশ কয়েকবার মাঝারি মাপের ভূমিকম্পের মুখে পড়লেও কোনও ক্ষতি হয়নি।
১৭) যেমন 'আর্থ কোয়েক হয় তেমন 'মুন কোয়েক'ও হয়। মানে ভূমিকম্পের মত চন্দ্রকম্পও হয়। চাঁদেও পৃথিবীর মতও ভূমিকম্প হয়। তবে পৃথিবীর থেকে কম মাত্রার ভূ কম্প হয় চাঁদে। পৃথিবীর মত অত ঘনঘন কেঁপে ওঠে না চাঁদ।
৪ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই
�