বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারী, ২০২১, ০৬:২৬:০৩

মহম্মদ সুলতান আনারসের পাতা দিয়ে ড্রোন তৈরি করে তাক লাগালেন!

মহম্মদ সুলতান আনারসের পাতা দিয়ে ড্রোন তৈরি করে তাক লাগালেন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: হালফিলে বিশেষ করে টপ অ্যাঙ্গেলের ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে ড্রোন। বৈজ্ঞানিক কোনও রিসার্চ থেকে শুরু করে যে কোনও এলাকার নজরদারিতে ড্রোন অপরিহার্য। শুধু তাই নয়, সিনেমার শুটিং, প্রডাক্ট ডেলিভারি, পার্টি, এমনকী ইদানিংকালে মিটিং-মিছিলেও ড্রোনের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। এবার মালয়েশিয়ার একদল বিজ্ঞানী খুবই স্মার্ট পদ্ধতিতে ড্রোনের চিত্তাকর্ষক এক রূপ দিলেন।

মালয়েশিয়ান সেই গবেষকেরা অদ্ভুত পদ্ধতির সাহায্যে পরিত্যক্ত আনারসের পাতা রূপান্তরের মাধ্যমে এমনই অসাধারণ এক উপাদান তৈরি করেছেন, যা দিয়ে অনায়াসে ড্রোনের ফ্রেমস তৈরি করেছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সুদূরপ্রসারী ভাবনা। পাশাপাশিই তাঁরা আরও দাবি করছেন, এই ধরনের ড্রোন আদপে তৈরি হলে তার দামও যেমন কম হবে, সেই সঙ্গে বস্তুটিও শক্তিশালী এবং পরিবেশ-বান্ধব হবে।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই প্রজেক্ট যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁর নাম মহম্মদ তারিখ হামিদ সুলতান। মালয়েশিয়ার পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তিনি। কুয়ালালামপুর থেকে মাত্র 65km দূরেই অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়।

বিগত কিছু বছর ধরেই এই বিষয়ে রিসার্চ চালাচ্ছেন মহম্মদ তারিখ। রয়টার্সের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শুধু ড্রোনই নয়, আরও নানাবিধ অ্যারোস্পেস অ্যাপ্লিকেশনেই আনারসের পাতা রূপান্তর করে একটি ফাইবারের রূপ দিয়ে এমনতর কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন পুত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই প্রফেসর।

খুব সম্প্রতি মহম্মদ তারিখ এবং তাঁর দল সেই আনারসের পাতা থেকে ফাইবারটি তৈরি করে ফেলেছেন, যা ড্রোনের বিভিন্ন অংশে কাজে লাগবে। রয়টার্সের কাছে গবেষক তারিখ জানিয়েছেন, জৈব কোনও উপাদান থেকে তৈরি করা ড্রোন অনেকাংশেই সিন্থেটিক ফাইবার দ্বারা নির্মিত ড্রোনের তুলনায় শক্তিশালী। শক্তি, ওজন সব দিক থেকেই জৈব উপায়ে নির্মিত ফাইবারের ড্রোন সেরা।

পাশাপাশিই সেগুলির আবার ওজনও বেশ কম, খরচও কম পড়বে এবং খুব সহজেই উড়তে পারে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। গবেষক তারিখ মহম্মদের কথায়, 'খুব সহজ ভাবে বলতে গেলে, এই ধরনের ফাইবারে তৈরি কোনও ড্রোন যদি নষ্টও হয়ে যায়, তাহলে তা মাটিতে পুঁতে দেওয়ার পরই আদতে নষ্ট হবে। কারণ, এগুলি সম্পূর্ণ ভাবে পরিবেশ-বান্ধব।'

শুনলে যেন রূপকথার গল্প মনে হয়! কিন্তু বাস্তবে এই ড্রোন কতটা উপকারী? রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই ধরনের প্রোটোটাইপ ড্রোন যেগুলি গবেষক তারিখ এবং তাঁর দল তৈরি করেছেন, সেগুলি 1000 মিটার অবধি উড়তে পারে এবং বাতাসে কমপক্ষে 20 মিনিট অবধি ভেসে থাকতে পারবে এই বিশেষ প্রযুক্তির ড্রোন।

গবেষকেরা এখন ছক কষছেন যাতে এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও একটু বড় মাপের ড্রোন তৈরি করা যায়, যেগুলি রিয়েল-লাইফে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। তার সঙ্গেই সেই ড্রোনে আরও বিভিন্ন সেন্সর দিয়ে, যাতে তার লোড নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও সচেষ্ট গবেষকেরা।-এই সময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে