এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: কবি বলেছেন ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’। তারপরও বর্তমান বিশ্বের বাস্তবতা হলো সম্পর্ন উল্টো। বিশ্বব্যাপী দেশে দেশে চলছে মানুষ মারা হিড়িক। আইএস, তালেবান, উলফা, জেএমবি তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যেমন প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে। ঠিক তেমনই তাদের দমনের নামে নির্বিচারে বিশ্বনেতাদের আদেশে হত্যা করা হচ্ছে ওই সন্ত্রাসীদেরসহ হাজারো সাধারণ মানুষকে। তবে সন্ত্রাসীরা যখন শিশুদের একের পর এক শিশু হত্যায় মেতে উঠেছিল তখন সমস্ত পৃথিবীই যেন কেঁদেছে। সেই সাথে কেঁদেছে বিশ্বনেতারা।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার ক্রন্দনরত অবস্থায় একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায়। সম্প্রতি তিনি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের উপায় কমানো নিয়ে এক বক্তব্য দেওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
শুধু ওবামাই নয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনকেও জনসম্মুখে কাঁদতে দেখা গেছে। এছাড়া আরও বহু বিশ্বনেতাই নানা কারণে জনস্মুখে কাঁদেন।
পুতিনকে কাঁদতে দেখা যায় ক্রেমলিনের নিকটবর্তী ম্যানেজিয়ানা স্কয়ারে সমর্থকদের একটি র্যালিতে।
উত্তর কোরিয়ার নতুন নেতা কিম জং উন তার বাবার মতোই একজন নেতা। তাকে তার বাবার অন্তেষ্টিক্রিয়ায় কাঁদতে দেখা যায়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডিউ সম্প্রতি ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার সময় কাঁদতে দেখা যায়।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে একজন নেভি সিল অফিসারের মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সময় কাঁদতে দেখা যায়।
সাবেক ইটালিয়ান প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনিকে কাঁদতে দেখা যায় তার ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগের বিপক্ষে কথা বলার সময়। এ সময় তার কাছেই ছিলেন তার বন্ধবী ফ্রান্সেসকা পাসকেল।
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা অং সান সুকিকে কাঁদতে দেখা যায় একটি নিউজ কনফারেন্সে।
আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারকে নির্বাচনে জয়লাভের পর তার ছেলের সঙ্গে কাঁদতে দেখা যায়।
১০ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ ২৪ ডটকম/জুবায়ের/রাসেল