এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এরা যতটাই সুন্দর, ততটাই ভয়ানক। এদের কারো কারো বিষে একসঙ্গে ২০ জনের জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে। কে জানে, সুন্দর হলুদ একটি ব্যাঙের একফোঁটা বিষ একসঙ্গে ২০ জনকে মরতে পারে! কারো বিষ শরীরে গেলে, মরতে সময় লাগে মাত্র তিন মিনিট। কারো বিষ পটাসিয়াম সায়ানাইডের চেয়েও ১৮ গুণ শক্তিশালী। বিশ্ব-দুনিয়ার এমনই ভয়ানক কিছু প্রাণীর কথা জানুন।
সি ওয়্যাসপ্স
জেলিফিশের বিশেষ এক প্রজাতি। শুধু লেজেই যে পরিমাণ বিষ থাকে, তাতে ২৫০ মানুষকে মেরে ফেলতে পারে সি ওয়্যাসপ্স। বিষক্রিয়া ছড়াতে সময় লাগে মাত্র তিন মিনিট! তার মধ্যে সব জারিজুরি শেষ, এতটাই বিষ তার হুলে। এই জেলিফিশের শরীরে কয়েক স্তরের কর্ষিকা ছাড়াও রয়েছে লাখ লাখ স্নিডোসাইট৷ কেউ স্পর্শ করা মাত্র কর্ষিকার মাধ্যমে কয়েক লাখ সূক্ষ্ম বিষাক্ত হুল ফুটিয়ে দেয় দেহে৷
রিফ ফিশ
মাছ হলেও দেখে কিন্তু বোঝার উপায় নেই। পাথরখণ্ডের মতো দেখতে। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে দেখা মেলে৷ পাথরের সঙ্গে এমনভাবে মিলেমিশে থাকে চেনাই দায়৷ মাছটি আক্রমণের সময় কাঁটা ফুটিয়ে দেয়। বিষে অবধারিত পক্ষাঘাত। ক্রমে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
ইনল্যান্ড তাইপান
গোখরো সাপের বিষের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী তাইপানের বিষ৷ যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার এই ল্যান্ড স্নেক সবচেয়ে বিষধর হিসেবে পরিচিত৷ ইনল্যান্ড তাইপান ২৩০ বয়স্ক ব্যক্তিকে ধরাশায়ী করতে পারে৷ তবে স্বস্তির কথা হল, এই সাপের আবাস প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে মানুষের চলাচল কম৷
সি স্নেকস ডুবোয়া
সামুদ্রিক সাপের মধ্যে এটি সবচেয়ে বিষাক্ত৷ এরা ছোবল দিলে, টের পাওয়া যায় না৷ ছোবল মারার আধঘণ্টার মধ্যে গলা শুকিয়ে যায়। এর পর হাত-পা অসাড় করে দেয়। ক্রমে পুরো শরীর অচল হয়ে, শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়৷
সামুদ্রিক শামুক কোন
সামুদ্রিক শামুকের খোলের বর্ণ বৈচিত্রের কারণে ব্যাপক চাহিদা৷ কিন্তু, এই শামুকটির সৌন্দর্যের পেছনে আছে মারাত্মক বিষ ভাণ্ডার৷ একফোঁটা বিষে ২০ জন প্রাণ হারাতে পারে৷
ব্লু রিং অক্টোপাস
স্বাভাবিকঅবস্থায় এর রং হালকা বাদামি৷ কিন্তু, আগ্রাসী হয়ে উঠলে, এই অক্টোপাসের গায়ে উজ্জ্বল নীল রঙের রিং দেখা যায়৷ কামড়ানোর পর এর বিষাক্ত লালা স্নায়ুতন্ত্রকে আঘাত করে৷ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে৷
লাবা সিডনি
সিডনি থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে সন্ধান মেলে এই মাকড়সাদের৷ এ ধরনের মাকড়সার বিষ মাংসপেশি ও শ্বাসতন্ত্রকে অচল করে দেয়৷ আর বিষ যদি হৃদযন্ত্রে যায়, অবধারিত মৃত্যু৷
ডেথস্টকার কাঁকড়া বিছে
সব ধরনের কাঁকড়া বিছেতে জীবনহানির সম্ভাবনা নেই৷ কিন্তু, ডেথস্টকার কাঁকড়া বিছে সাক্ষাত্ মৃত্যুদূত। তুরস্ক, আরব উপত্যকা এবং উত্তর আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে এদের বসবাস৷ পটাসিয়াম সায়ানাইডের চেয়ে ১৮ গুণ বেশি শক্তিশালী এই কাঁকড়া বিছে৷
বিষাক্ত ব্যাঙ
হলুদ রঙের এই ব্যাঙটি দেখতে সুন্দর। কিন্তু ভয়ানক বিষাক্ত। দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় পাওয়া যায়৷ এরা একবারে ১০ জন মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে৷
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/