এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতের বিহারের বক্সা জেলে তিন ধরনের দড়ি তৈরি হয়। এর মধ্যে তাঁবু তৈরির দড়ি, হাতকড়া পরানোর দড়ি এবং ফাঁসির দড়ি। প্রতিটি দড়ি তৈরিতেই অনেক সময় ব্যয় করা হয়।
প্রত্যেকটি দড়ি এক বিশেষ ধরনের তুলা দিয়ে তৈরি হয়, যার পোশাকি নাম জে-৩৪। তুলাটাকে মোটা সুতাতে জড়িয়ে ফেলা হয়। এরপর মোমবাতি ঘষে মোলায়েম করে দেয়া হয় সেই দড়ি।
জেলের আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধু খেয়াল রাখতে হয় দড়ি তৈরির সময় সেখানে যেন কোনো গিঁট না থাকে, তবেই সেই দড়ি নিখুঁত হবে।
বিহারের বক্সা জেলে প্রস্তুত এই বিশেষ ফাঁসির দড়ি এর আগে ব্যবহৃত হয়েছিল ২০০৪ সালে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির সময়।
সেই বক্সায় প্রস্তুত দড়িই ব্যবহার করা হয় ২০০১ সালে সংসদ হামলায় দোষী সাব্যস্ত আফজাল গুরুর মৃত্যুদণ্ডের সময়। এরপর ২০১২ সালে ২৬/১১-এরর মুম্বাই হামলার অন্যতম অপরাধী আজমল আমির কসাবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময়েও ব্যবহৃত হয় বক্সা থেকে আসা ফাঁসির দড়ি। এ কথা জানিয়েছেন ওই জেলেরই সুপারিন্টেন্ডেন্ট এস. কে চৌধুরী।
সেই দড়ির ফাঁসেই মৃত্যু হলো মুম্বাই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলার প্রথম দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমনের।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/