এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, পরমাণু বিজ্ঞানী, বায়ুসেনা, শিক্ষাবিদ এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ গোটা ভারতবর্ষ। সদ্য প্রয়াত এই ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত মিসাইল ম্যানের নানাভাবে স্মরণ করছে নানা ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি পেশার মানুষ। প্রতিনিয়ত গণমাধ্য প্রকাশ করছে তার খুটিনাটি নানা তথ্য। এবার তাকে নিয়ে নানা জানা অজানা ১০-
১) কালাম দক্ষিণ ভারতীয় খাবার বিশেষত 'ইডলি' খেতে খুব পছন্দ করতেন।
২) ডক্টর কালাম কর্ণাটকী কণ্ঠ শিল্পী এমএস শুভলক্ষ্মীর গানের বড় ভক্ত ছিলেন। শুভলক্ষ্মীও কালামকে খুব ভালবাসতেন। বিখ্যাত এই সঙ্গীতজ্ঞ নিজে হাতে কিছু রান্না করলে তা কালামকে পাঠাতেন। দুজনে মিলে মেঝেতে বসে কলা পাতার ওপর খেতেনও।
৩) ছোটবেলায় কালামের তিনজন ঘনিষ্ঠবন্ধু ছিল। রামনধ শাস্ত্রী, অরবিন্দন ও শিবপ্রকাশন। এই তিনজন বন্ধুই ছিল ব্রাহ্মণ পরিবারের সদস্য।
৪) রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষী লক্ষ্মণ শাস্ত্রী ছিলেন কালামের বাবার প্রিয় বন্ধু।
৫) রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে কালাম এক কামরার এখটা ছোট্ট ঘরে থাকতেন।
৬) রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী তাঁর আত্মীয়রা রাষ্ট্রপতি ভবনে বিনা খরচে বিমানে চেপে কালামের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারতেন। কিন্তু তা না করে কালাম দ্বিতীয় শ্রেণীর ট্রেনের টিকিট চেয়েছিলেন।
৭) বাড়ির বাইরের দেওয়ালে একবার ভাঙা কাচ লাগানোর কথা কালামকে বলা হয়েছিল, সেটা শুনে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন। কারণ তার মনে হয়েছিল তাহলে পাখিদের খুব অসুবিধা হবে।
৮) দেশের প্রথম অবিবাহিত রাষ্ট্রপতি কালামকে একবার এক অনুষ্ঠানে বাকিদের চেয়ে বড় বিশেষভাবে বানানো এক চেয়ারে বসতে বলা হয়েছিল। কালাম তাতে রাজি হননি। তিনি বাকিদের মত সাধারন চেয়ারে বসেছিলেন।
৯) কেরলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর প্রথম সফরে কালাম রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিশেষ দুজনকে। একজন হলেন রাস্তার মুচি আর অন্যজন ছোট এক হোটেলের মালিক
১০) ৪০০ জন ছাত্রছাত্রীর কাছে কালম ভাষণ দেওয়ার সময় বিদ্যুত্ চলে যায়। তিনি তাতে থেমে থাকেননি। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের বলেন তাকে গোল হয়ে ঘিরে দাঁড়াতে। খালি গলাতেই ৪০০ জন ছাত্রছাত্রীর মাঝে বক্তৃতা দিতে থাকেন।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/