এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: গত মে মাসে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বরদানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী স্কুলের টয়লেটে কথিত ‘ভূত’ দেখে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে অসুস্থ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে একজন মারা যায়। ‘স্কুলে ভূত, ভয়ে খাসি জবাই’ শিরোনামে গত ১৭ মে এমটিনিউজ২৪.কম একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খাসি খাওয়ানোর পর স্কুল থেকে কথিত ‘ভূত’ পালিয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অসুস্থ এক ছাত্রীর কথামতো ভূত থেকে রক্ষা পেতে দুটি খাসি জবাই, শিরনী বিতরণ ও মিলাদ মাহফিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সেই লৌমহর্ষক ঘটনার দু’মাস পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে স্কুলটির এখন কি অবস্থা, সেখানে কি কথিত ভূত এখনো আছে কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় ছাইকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তোতা এমটিনিউজ২৪.কমকে জানান, ‘বিষয়টি যদিও আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে অবিশ্বাস্য, তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্য খাসি খাওয়ানো ও শিরনী বিতরণীর পর স্কুলের পরিবেশ এখন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।
চেয়ারম্যানের কথার সাথে একমত পোষণ করে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, কবিরাজের কথা অনুযায়ী আমরা খাসি জবাই করে মিলাদের আয়োজন করেছিলাম। আসলে ভূত বলে কিছু ছিল কিনা আমরা জানি না। তবে বর্তমানে স্কুলের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
অপরদিকে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত বরদানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ‘স্কুলটি ১৯১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরে আমরা জানতে পেরেছি, স্কুলের টয়লেটটি হিন্দুদের শ্মশানের ওপর নির্মিত। তবে আমরা এগুলো বিশ্বাস করিনি। কিন্তু অভিভাবকরা আমাদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন ‘যদি খাসি খাওয়ানো না হয় তাহলে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবো না। পরে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং ওই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকসহ গ্রামের মানুষদের সাথে আলোচনা করে একটি ভোজের আয়োজন করি। বর্তমানে স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/