এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে একজন মানুষকে কতদূর নিতে পারে তার প্রমাণ করলেন ভারতের লক্ষ্মৌর এক কিশোরী। মাত্র ৭ বছর বয়সে হাইস্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে ১৩ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি। ১৫ বছর বয়সে মাইক্রো বায়োলজিতে উত্তীর্ণ হয়ে স্নাতকোত্তর। এসব হয়েছে তার দৃড় মনোবলের কারণে।
প্রতিভার কাছে বয়স কোনো বাধা নয় তার প্রমাণ করলেন সুষমা ভার্মা। তিনিই ভারতের কনিষ্ঠতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। এবার তিনি লখনৌয়ের বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি'-তে পিএইচডির পাশাপাশি গবেষণা করবেন।
জুনে সুষমার রেজাল্ট বের হলে দেখা যায়, তিনি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংক্রান্ত প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও তিনি সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন।
মাইক্রোবায়োলজিতে গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত তিনটি আসন রয়েছে। তবে সুষমার জন্য বিশেষ অনুমতি নিতে বেগ পেতে হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান নবীন কুমার।
এদিকে সুষমার পিতা তেজ বাহাদুর ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়েরই পরিচ্ছন্নকর্মী ও মা গৃহবধূ। জানা গেছে, সুষমা মাত্র ৫ বছর বয়সেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করে এবং কনিষ্ঠতম হিসেবে 'লিমকা বুক অব রেকর্ডস'-এ নাম তোলে।
ওই পরিবারে শুধু সুষমাই নয়, তার দাদা শৈলেন্দ্রও একজন বিস্ময় বালক ছিলেন। তিনিও মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সুষমার মাত্র তিন বছর বয়সী বোন অনন্যা সাবলীলভাবে রামায়ণ পড়তে পারে। সুষমা জানিয়েছে, ও হিন্দি-ইংরেজি পড়তে ও কবিতা আবৃত্তি করতে পারে।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/