এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নানাভাবে প্রেম নিবেদন করে থাকে প্রেমিক-প্রেমিকারা। তবে একেক দেশে একেকভাবে। মনের মানুষকে সঙ্গী করে নেয়ার প্রথম যে ধাপ সত্যিই মজার। মানুষ কীভাবে ভালোবাসার মানুষটিকে বিশেষ অনুভূতি জানায়- এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এলো দারুণ মজার কিছু তথ্য৷
অস্ট্রিয়ায় মেয়েদের মধ্যে প্রেম নিবেদনের অদ্ভুত এক রেওয়াজ আছে৷ গ্রাম এলাকায় ঐতিহ্যবাহী নাচের সময় মেয়েরা আপেল নিয়ে বগলের নিচে রাখে৷ কিছুক্ষণ পর সেই আপেল তুলে দেয় ভালোলাগার মানুষটির হাতে৷ ছেলেটি যদি আপেলটি খায় তাহলে বুঝে নিতে হবে, সে প্রেম করতে রাজি৷
আজকাল সরাসরি প্রেম নিবেদনের অনেক আগেই শুরু হয়ে যায় মেসেজ-বিনিময়৷ এমনকি বিয়ে হলেও মেসেজ-বিনিময় চলতে থাকে৷ তবে মেসেজের ভাষাটা যায় বদলে৷
ডেটা সায়েন্টিস্ট এলিস ঝাও নিজেও বিয়ের আগে তার প্রেমিককে নিয়মিত ‘লাভ ইউ’ মেসেজ লিখতেন৷ আজকাল সেখানে শুধু ‘হাই’, ‘হ্যালো’, ‘বাসায়’, ‘ওকে’, ‘হ্যাঁ’, ‘না’ – এই জাতীয় শব্দই লিখছেন৷ আসলে এখন তো প্রেমের কথা ঘরে মুখোমুখি বসেই বলা যায়, মেসেজে লেখার কি দরকার!
মেক্সিকোর কিকাপু উপজাতির পুরুষরা প্রেম করে শিস বাজিয়ে৷ যাকে পছন্দ তাকে শিস বাজিয়ে ডেকে নেয় প্রেমিক পুরুষ৷ মেয়েটি সাড়া দিলে শুরু হবে কথা৷ তবে সে কথায় একবারও আসবে না, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি৷’ আশপাশে লোকজন থাকলে তো বটেই, না থাকলেও আকার-ইঙ্গিতেই একে অপরকে বলবে ‘ভালোবাসি’৷
প্রেম আছে, বিরহ-বিচ্ছেদও আছে৷ তবে আগের মতো বিরহ বা বিচ্ছেদের সময় সবার এত দীর্ঘ হয় না৷ পাশ্চাত্যে প্রেমিক বা প্রেমিকা সাধারণত বিচ্ছেদের চার-পাঁচ মাসের মধ্যেই নতুন কাউকে খুঁজতে শুরু করে৷ ইউরোপে নতুন সম্পর্ক শুরুর জন্য বেশির ভাগেরই পছন্দ বড়দিনের সময়টা৷ বিশেষ করে বড়দিনের দু’সপ্তাহ আগের সোমবারটাই বেশির ভাগ তরুণ-তরুণীর পছন্দ৷
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/