শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৩:৫২:২২

হাতির ভয়ে গাছে ঘর বানিয়ে গ্রামবাসীর বসবাস!

হাতির ভয়ে গাছে ঘর বানিয়ে গ্রামবাসীর বসবাস!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : হাতির ভয়ে গাছে ঘর বানিয়ে বসবাস করার খবর জানা গেছে! তবে এক-দুজন নয় পুরো গ্রামের লোকজন ছোট ছোট ঘর বানিয়ে গাছের ওপর বসবাস করছেন।

সেখানেই চলে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম।  মনে হতে পারে শখ বা পাগলামি কিন্তু না, আসলেই হাতির ভয়ে গাছে ঘর সংসার করছেন তারা।  হাতির হামলা থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের এক গ্রামের লোকজন গত তিন বছর ধরে গাছে বসবাস করে আসছেন।

খাবারের খোঁজে পাহাড় থেকে বুনো হাতির দল নেমে এসে গ্রামের শষ্যক্ষেতগুলো তছনছ করে দেয়।  শুড় দিয়ে টেনে ভেঙে ফেলে তাদের ঘরবাড়ি।  যাত্রাপথে হাতির দলের সামনে কেউ পড়লে আর রক্ষা নেই। নিমিষেই শেষ।   

বেশ ক’জনকে পিষে মেরেছে হাতি।  তাই কিয়াত চুয়াং গ্রামের লোকজন খুঁজে নিয়েছে বেঁচে থাকার নতুন উপায়।  তারা বাঁশ আর কাঠ দিয়ে বড় বড় গাছের ওপর ঘর বানিয়ে জীবনযাপন করে আসছেন।  

রাজধানী ইয়াংগুন থেকে কিয়াত চুয়াংয়ের দূরত্ব ১শ’ কিলোমিটার।  সেখানকার লোকজনের প্রধান পেশা কৃষিকাজ। তিন বছর আগে ওই গ্রামের ওপর হাতির হামলা শুরু হয়।  এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারে হাতির এ উৎপাতের জন্য বন ধ্বংস করার প্রবণতাকে দায়ী করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।  জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা সংক্ষেপে ফাওয়ের হিসাব মতে, গত দুই দশকে (১৯৯০ থেকে ২০১০ ) দেশের মোট ২০ ভাগ বনাঞ্চল ধ্বংস করা হয়েছে।

দেশটির সামরিক শাসনামলে কৃষিজমির পরিমাণ বাড়াতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব বন উচ্ছেদ অভিযান চালান হয়েছে, যার পরিণতি ভোগ করছে কিয়াত চুয়াং গ্রামের মানুষগুলো।  নিজেদের আবাসস্থল সঙ্কুচিত হওয়ার কারণেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে এশিয়ার বন্য হাতিগুলো।

অবশ্য মূল্যবান দাঁতের কারণেও এসব হাতির অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। এসব পশুগুলোকে থাইল্যান্ডে পর্যন্ত পাঁচার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসছেন দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি।

সরকার গঠন করার পরই পরিবেশ ইস্যুতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোয়ে নিয়ান্ট।  বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মিয়ানমারে গত কয়েক দশক ধরে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পরিবেশ উদ্ধার করার চেষ্টা করব।  তবে কাজটা অত সহজ নয়।
১৬ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে