এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : মাছবৃষ্টির কথা জানা গেলেও কোথাও টাকার বৃষ্টি হয়েছে জানা নেই। সত্যি সত্যিই কী টাকার বৃষ্টি? আসলে তা নয়, বানরের বাঁদরামি। বাঁদরামি করা জন্মগত অধিকার। আর তারা যদি ভারতের বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরের বানর হয়।
শনিবার পূর্ব-পুরুষদের আরো একটি উত্পাতের সাক্ষী হলেন উপস্থিত সবাই। মুম্বাই থেকে পূজা দিতে এসে মহা বিপাকে পড়লেন হেমবতী সোনকর। তার ব্যাগটি ছিনতাই করে পালায় একটি বানর। সেই ব্যাগে ছিল প্রায় লাখ দেড়েক টাকা। মন্দিরের উপর উঠে সেটাই বৃষ্টির মতো চারদিকে ছড়িয়ে দিতে থাকে বানরটি।
হেমবতী বলেন, হঠাত্ই পেছন থেকে এসে ব্যাগ ধরে দৌড়ে পালায় বানরটি। অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। সে সময় দুপুরের আরতির শেষে মন্দির বন্ধ ছিল। ফলে আশপাশের ফল-মিষ্টির দোকানও কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
কিছু খাবার দিয়ে লোভ দেখিয়ে যে ব্যাগটা ফেরত নেব তারও উপায় ছিল না। খানিক বাদে বানরটা একটি দোকানের চালে বসে ব্যাগ খুলে টাকা বের করে। পরে ওই নোটের বান্ডিলগুলো নিয়ে সটান মন্দিরের উপরের দিকে উঠে তা ছড়িয়ে দেয়।
এ দৃশ্য চোখে পড়ে, চারদিক থেকে লোকজন ছুটে আসেন। হুটোপুটি লেগে যায় ৫০০ টাকার নোট কুড়াতে। তবে বেশির ভাগ নোটই কুড়িয়ে সবাই পকেটস্থ করে ফেলেন। মন্দির চত্বরের কয়েকজন দোকানি এবং হেমবতীর এক মেয়ে বেশকিছু টাকা কুড়াতে সক্ষম হন।
তবে তার পরিমাণ খুবই সামান্য। এর মধ্যে হেমবতীর মোবাইল ফোনটিও চুরি হয়ে যায়। স্বামী এবং দুই মেয়ের সঙ্গে চীর্থ ভ্রমণে এসে এমন অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনি।
এমন ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও মন্দিরের দর্শনার্থীদের কাছ থেকে দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করে বানরের দল। গত বছর নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন এই মন্দির দর্শন করতে এসেছিলেন, তখন বানর দলকে শায়েস্তা করতে হনুমানের ব্যবস্থা করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।
সে সময় এলাকার লোকজন এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তাদের দাবি ছিল, রাষ্ট্রপতির জন্য যদি এমন ব্যবস্থা করতে পারে পুলিশ, তবে তাদের জন্য কেন নয়! কারণ রোজকার উত্পাত তাদেরই সহ্য করতে হয়। সূত্র : ইন্ডিয়ান টাইমস
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে