এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ভুলের উর্ধ্বে কেউ নয়, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের ভুলের বহর এতটাই বেড়ে যায় যে অন্য কোনওভাবে সমস্যা আটকানো যায় না। এই অবস্থায় অতিরিক্ত ভালোবাসা, ব্যক্তিগত কথা অন্যকে বলা ইত্যাদির মাধ্যমে সমস্যা বাড়ে।
সম্পর্কে থাকতে গেলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া থাকতে হয়। বহু বিশেষজ্ঞের মতে, ভালোবাসা কিছুদিনের মধ্যে চলে যেতে পারে। কিন্তু বোঝাপড়া থাকবে। এই বোঝাপড়ার উপর ভর করেই মানুষ নিজেদের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
এবার মানুষ মাত্রই ভুলত্রুটি থাকেই। কিন্তু এই ভুলের মধ্যে দাঁড়িয়েও অপর মানুষটির সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আপনি নিজে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে পারলেই অনেক সমস্যার হয়ে যেতে পারে সমাধান।
কিন্তু মানুষ তো এভাবে ভাবতে পারে না। তাঁদের ভাবনায় অনেক কিছু লোকানো রয়েছে। তাই নানা জটিল চিন্তা মস্তিষ্কে সর্বদা ঘুরে চলে। এবার অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের ছোট ভুলকেও অনেকটাই বড় করে দেখান হয়। তখন এক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।
তবে সমস্যার অপর একটি দিকও রয়েছে। এক্ষেত্রে এমন কিছু কাজ মানুষ করে থাকেন, যার থেকেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর থেকেও বড় সমস্যা হল, ব্যক্তি বুঝতেও পারেন না যে ঠিক কোথায় সমস্যাটা হচ্ছে। তাই নিজের দোষেই সম্পর্ক থেকে দূরে যেতে শুরু করে দেন। এমনকী অপরদিকের মানুষটি যে দূরে চলে যাচ্ছেন, এটাও মাথায় থাকে না।
এবার এই ভুল অভ্যাসের দরুন সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে নিজের ভুল নিজেকেই ঠিক করে নিতে হবে। এবার আসুন সেই ভুল অভ্যাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।
জীবনে কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনই ভালো নয় অতিরিক্ত ভালোবাসা। আপনি কোনও মানুষকে অতিরিক্ত ভালোবাসলে, তিনি সেই ভালোবাসার চাপে দমবন্ধ অনুভব করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি নিজেই সম্পর্কের গলা টিপে দিচ্ছেন। তাই এই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখুন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন। এবার থেকে একটু কম ভালোবাসা দেখান। চলুন জেনে নেই প্রেমিকার সঙ্গে যে ৫টি কাজ করা ঠিক না প্রেমিকের:
১. কথায় কথায় ঝগড়া: অনেকেই এই কাজটা নির্লজ্জের মতো করে থাকেন। আসলে আপনার সঙ্গীর কোনও বিষয় ভালো না লাগতেই পারে। তবে সেই জায়গা থেকে নিজেকে বের করে আনতে তো হবেই।
তবেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন। কারণ রোজকার রোজ ঝামেলা কোনও সম্পর্কে বড়সড় সমস্যা অনায়াসে তৈরি করে দিতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া ছাড়া অন্য কোনও গতি আপাতত নেই। তবেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন।
২. নিজেকে বড় করা: আপনি অনেকের থেকে বেশি বুঝতেই পারেন। তবে সেই বেশি বোঝার বিষয়টিকে নিয়ে বেশি ভাবতে যাবেন না। বরং আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে, যে নিজেকে বড় করতে করতে কখন যে আপনি সঙ্গীকে ছোট করে দিয়েছেন, তা বোঝা দায়।
তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। এবার থেকে আর অপরদিকের মানুষটিকে ছোট করবেন না। তাহলেই ভালো থাকতে পারবেন। নইলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
৩. নিজেকে অসহায় প্রমাণ করা: যেমন সঙ্গীর উপর খবরদারি করা ভালো নয়। ঠিক তেমনই সঙ্গীকে অসহায় প্রমাণ করাও কিন্তু একেবারেই ভালো নয়। কারণ আপনি কথায় কথায় ভিকটিম সাজলে সঙ্গীর বিষয়টি ভালো নাও লাগতে পারে। তখনই শুরু হতে পারে মূল সমস্যা। তাই অসহায় সাজার চেষ্টা করবেন না।
৪. সব কথা অন্যদের বলা: নিজেদের মধ্যে একটা পার্সোনাল স্পেশ থাকে। এবার এই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের কথা অন্যকে বলা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ আপনি অন্যকে নিজেদের কথা বললে, সঙ্গী রেগে যেতে পারেন। তাই এটাও করা যাবে না।