এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ব্রেন বলবে, চলবে গাড়ি! মাথা নাড়ালেই ড্রাইভার ছাড়া চলবে গাড়ি! এমন বিস্ময়কর আবিষ্কার চীনের। ব্রেন টু ব্রেন কমিউনিকেশনের খবর তো আগেই জেনেছি। এবার জানুন জাব্রেন টু কার কমিউনিকেশনের কথা। হয়তো শুনতে একটু খটমট লাগবে।
ধরুন, রাস্তায় আপনি যদি দেখেন একটি গাড়ি দিব্যি চলছে, থামছে, মোড় ঘুরছে কিন্তু চালকের আসনে কেউ বসে নেই। এ ঘটনা দেখে কি অবাক হবেন না? চালককে চোখে দেখা না গেলেও গাড়িটা নিজে নিজে চলছে না, সেটি চালাচ্ছেন একজন চালকই।
তবে কীভাবে? সেটাই তো ব্রেন টু কার কমিউনিকেশন। এই গাড়ির নিয়ন্ত্রক চালকের মস্তিষ্ক। স্টিয়ারিং, অ্যাক্সিলেটর বা ব্রেক কষতে হলে চালকের হাত বা পা নয়, মাথাটা চললেই যথেষ্ট।
প্রথম মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রিত গাড়ি আবিষ্কৃত হলো চীনে। বৃহস্পতিবার সেই গাড়িই সারা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরলেন গাড়ি প্রস্তুতকারী দল। তিয়ানজিনের নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক চীনা গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্রেট ওয়াল মোটরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই গাড়ি তৈরি করেছে।
এই প্রযুক্তিতে একটি হেডসেট ও ১৬টি সেন্সরের সাহায্যে চলবে গাড়ি। এগুলোর মাধ্যমেই ব্যবহারকারীর মস্তিষ্ক থেকে গাড়ির প্রসেসিং সিস্টেমে বার্তা পৌঁছবে। সেন্সরগুলো ব্রেনের সিগন্যালটা নেবে, এরপর সেই সিগন্যাল পর্যালোচনা করে, গাড়ি যে নির্দেশিকা বোঝে, সেই আকারে বার্তাটি তৈরি করে তা গাড়িতে পাঠানো হবে নতুন এই প্রযুক্তিতে।
তবে পুরোমাত্রায় এই প্রযুক্তিতে উত্পাদন শুরু করতে আরো কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। নানকাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডুয়াং ফেঙ বলেছেন, আরো কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে এই প্রযুক্তিচালিত গাড়িকে আরো নিরাপদ, বুদ্ধিদীপ্ত ও ইউজার ফ্রেন্ডলি করে তোলা সম্ভব। সূত্র : এই সময়
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে