এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ভারতের গোয়ার জনবহুল বিচে কুমির চড়ে বেড়ানোর খবরে পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ততক্ষণে খবর পেয়ে যায় কুকুরের দল। কুকুরের মারমুখী আক্রমণে ঘুরে দাঁড়ায় কুমিরটি। যত গর্জন তত বর্ষে না কুকুরের দলে। চলতে থাকে কুমির-কুকুরের লড়াই কিন্তু কাছে থেকে নয় দূরেই যত আওয়াজ। ভারতের এক গণমাধ্যমে এ খবর জানা গেছে।
পানাজি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গোয়ার খুব পরিচিত বিচ মোরজিম। রাশিয়ার পর্যটকরা খুব বেশি এই বিচে আসেন বলে একে অনেকে লিটল রাশিয়াও বলে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা নীলেশ বাগকার বুধবার গোয়ার মোরজিম বিচে হঠাত্ই এক কুমীরকে চড়তে দেখেন।
সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেটির ছবি তুলে পোস্ট করে দেন ফেসবুকে। বালির চরে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছিল কুমিরটি। কিন্তু এলাকায় অপরিচিত অতিথিকে দেখে তেড়ে যায় স্থানীয় কুকুরের দল। তাড়া খেয়ে উপায় না পেয়ে সমুদ্রে ফিরে যায় কুমিরটি।
সাধারণত নদীর জলেই বাস কুমিরের। কিন্তু কীভাবে সেটি সমুদ্রে এসে পড়েছে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বনদপ্তরের ডেপুটি কনজারভেটর ডি এন এফ কারভালথোর দাবি, কুমিরটি সমুদ্র থেকে আসেনি। এটি নিশ্চয়ই চাপোড়া নদী থেকে এসেছে। মোরজিমেই চাপোড়া নদীটি সমুদ্রে এসে মিশে। কুকুরের তাড়া খেয়েই কুমিরটি বিচের ধারে চলে এসেছে।
বর্ষার মৌসুমেও ভালোই পর্যটক হয় মোরজিম বিচে। স্থানীয় এলাকার মানুষজন সমুদ্রের ধার দিয়েই রোজ মর্নিং ও ইভনিংওয়াক সারেন। মাছ ধরতে নিত্যদিন এই বিচে চলাফেরা মত্স্যজীবীদেরও।
এরকম একটা জনবহুল বিচে কুমির হানা দেয়ায় রীতিমতো আতঙ্কে স্থানীয় ও পর্যটকেরা। কুমির দেখা যাওয়ার পরের দিন থেকেই কমেছে পর্যটকের আনাগোনা।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/