জুবায়ের আল মাহমুদ রাসেল: খুব সম্ভবত আগামী শনিবার অথবা রবিবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালিত হবে। পৃথিবীর অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশের মুসলমানদেরও এই দিনটি পালনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। কেউ বাবার কাছে নতুন জামা কিংবা শখের ঘড়ি কিনে দেয়ার বায়না ধরেছে। কেউবা মনে মনে স্বপ্ন দেখছে প্রথম চাকরির প্রথম বেতন দিয়ে মায়ের জন্য এক খানা শাড়ী কিনে দেবে।
মাকে শাড়ি কিনে দেয়া কিংবা ছো্ট্ট আদরের সোনামনির শখের খেলনা কেনার এমন হাজারো স্বপ্ন বুকে লালন করে সুখে থাকার অভিনয় করে চলেছে মানুষগড়ার কারিগড় খ্যাত বাংলাদেশের বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষক। কারণ ঈদ ঘনিয়ে আসলেও তাদের ন্যায্য বেতন সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এখনো দিতে পারে নি।
তেমনই একজন বেতন বঞ্চিত আদর্শ কলেজ শিক্ষক রাজশাহীর বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আবু বককর সিদ্দীক। বাংলাদেশের সকল শিক্ষকদের দুঃথ দূর্দশাকে নিজের করে নিয়ে তিনি তাঁর ফেজবুক পেজে একবুক কষ্ট নিয়ে কিছু কথা লিখেছেন। যে কথা গুলোর উত্তর আমাদের জানা নেই। জাতীর বিবেকের উদ্দেশ্যে তাঁর ওই স্টেটাসটি হবুহু তুলে ধরা হলো-
‘‘আগামী বৃহঃস্পতি বা শুক্রবারে পবিত্র ঈদ। কিন্তু বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারিদের বেতনের এখনো কোন খবর নাই। যারা মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য, শিক্ষকতা করেই যাদের সংসার চালাতে হয় তাদের জন্য এটা বড়ই কষ্টের ও বিড়ম্বনার।
সময় কোথায়, কবে বেতন পাবে আর বউ-বাচ্চাদের জন্য বাজার করবে। যারা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের বেতন প্রদান কার্য ক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতি বছর প্রতি ঈদে তারা কি ঘাস কাটেন??? প্রতি ঈদে কেন একই সমস্যা হয়??
শিক্ষা মন্ত্রি, শিক্ষা সচিব, ডিজি শিক্ষা, অতোগুলো টাকা বেতন নিয়ে কি ছিড়েন ওখানে বসে প্রতি বছর।
একটাবারও কি যথাযথ সময়ে বেতনটা ছাড় করাতে পারেন না আপনারা।’’
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে