এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : অনেকেরই ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যাস আছে। ঘুমের মধ্যে অনেকে নাক ডাকেন, খাওয়া-দাওয়া করেন। আবার ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই ঘরের মধ্যে পাঁয়চারি করেন।
আবার কখনো কখনো পাশে ঘুমিয়ে থাকা মানুষটিকে কনুই দিয়ে গুঁতো বা সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ফুটবল মনে করে পা দিয়ে শট মারার ভঙ্গিতে লাথি মেরে বসেন। যা-ই করেন কিন্তু ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সমুদ্রে হাঁটতে কেউ না গেলেও এবার গেছেন এক নারী !
এমন এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন ম্যারি লর্ড নামে ৩৯ বছর বয়সী এক নারী। ইংল্যান্ডের সামারসেট কাউন্টির ওয়েস্টন-সুপার-মেয়ার শহরতলির বাসিন্দা ম্যারি। ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে সমুদ্র পর্যন্ত হেঁটে যান তিনি।
শুধু তাই নয়, ভয়ঙ্কর ঢেউ ভেঙে সমুদ্রের গভীর পানিতে নেমেও যান। দীর্ঘ আধা মাইল ঘুমের মধ্যে হেঁটেছেন তিনি। মুখে নোনা পানির স্বাদ টের পাওয়া মাত্রই কুম্ভকর্নের ঘুম ভেঙেছে তার। ম্যারি লর্ডের ওপর তখন আছড়ে পড়ছিল একের পর এক বিশালাকায় ঢেউ। ঠাণ্ডা পানির কিছুটা তার মুখে ঢুকে যাওয়ায় লবণাক্ততা বোধ করেন জিভে।
এ খবর দিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক অনলাইন মেট্রো।
মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যরাত দেড়টার দিকে ঘুমিয়ে হাঁটা শুরু করেন তিনি। ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তা ধরে হাঁটলেন, এমনকি কংক্রিট-নির্মিত খাড়া কয়েকটি সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামলেন তিনি।
অথচ অন্য যেকোনো সময় ভয়ের কারণে খাড়া সিঁড়ি বেয়ে ওঠা-নামার কাজটি করতে স্বামীর সাহায্য নেন তিনি। সমুদ্রে নামার পর যখন ম্যারির ঘুম ভাঙে, তখন শুধুই চিৎকার। তার চিৎকার শুনে পাশ দিয়ে যাওয়া এক নৈশপ্রহরী।৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জরুরি সহায়তা চান।
লি সার্লি (২১) নামের সেই তরুণ প্রহরীর কাছে তার জীবন বাঁচানোর জন্য ম্যারি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ম্যারির বাড়ি থেকে বাতাসের গতিবেগের ওপর নির্ভর করে সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দ শোনা যায়।
তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, সাধারণত ঘুমের মধ্যে হাঁটার অভ্যাস নেই ম্যারির। ১৩ বছর বয়সে শেষবার ঘুমের ঘোরে হেঁটেছিলেন তিনি।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে