এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: প্রতিবছর হাতির তান্ডবে জমির ফসল থেকে শুরু করে নষ্ট হয় ঘরবাড়ি, গাছপালা এমনকি কখনো কখনো চলে যায় মূল্যবান প্রাণ। তাই হাতির আক্রমণ থেকে প্রাণে বাঁচতে ভারতের ঝাড়খন্ডের বন দফতর উট কেনার এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছে, হাতি তাড়ানোর নানা চেষ্টা ব্যর্থ হলেও এবার উঠের মাধ্যমে তাড়ানো সম্ভব হবে।
এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্য পেছনে একটি ঘটনা লুকায়িত আছে। আর সেটি হলো গত জানুয়ারিতে ঝাড়খন্ডের খুঁটি জেলায় একটি গ্রামে ঢুকে ১৪টি হাতি তান্ডব চালাচ্ছিল। কিছুতেই তাদের তাড়ানো যাচ্ছিল না। সেই সময় ওই গ্রামের এক বাসিন্দার দুটো উট হঠাৎ হাতির দলটির সামনে এসে পড়ে। উট দুটিকে দেখে গ্রামের মানুষকে অবাক করে দিয়ে মুহূর্তেই জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় হাতির দল।
কয়েক দিন আগে ওই রাজ্যেরই রাঁচির বুন্ডু, তামার ও সোনাহাতু ব্লকের কয়েকটি গ্রামে এক দল হাতি রীতিমতো তান্ডব চালাচ্ছিল। খেতের ফসল নষ্ট করা থেকে শুরু করে বাড়িতেও হানা দিচ্ছিল তারা। এক নারীকে জখমও করে।
পাশেই ‘তামার’ ফরেস্ট। হাতি ঠেকাতে গ্রামবাসীরা ডাকলেন বনকর্মীদের। কিন্তু তাদেরও নাস্তানাবুদ অবস্থা। এ সময় ওই গ্রামের পাশের জাতীয় সড়ক দিয়ে তিনটে উট নিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন লোক। আগের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই তারা হাতি তাড়ানোর জন্য তিনটে উট ধার নেন। ফলও মেলে হাতেনাতে।
এবারও দেখা গেল, উটের মুখোমুখি হয়ে হাতির দল পিছটান দিচ্ছে। এই দুটি ঘটনার পরে জেলার ফরেস্ট অফিসগুলো উট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয়রা অবশ্য বন বিভাগের এই সর্বশেষ চেষ্টাকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নতুন আশায় বুক বাধছেন। তারা বলছে যেহেতু উট দেখে হাতি ভয় পায়, সেহেতু এটা প্রযোগ করলে কাজ হতে পারে।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/বিএসএস/এসএস