ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু: রমযানে রোজা পালন করা হয় মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। অসুস্থ হয়ে পড়লে রোজা না রাখার বিধান আছে। তবে কে চায় বছরে একবার আল্লাহর নৈকট্য লাভের এ সুযোগ হাতছড়া করতে? রোজা রেখে খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন না হলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন সহজেই।
এবছরের রোজার সময় কিন্তু বেশ দীর্ঘ। তাই সারাদিন ব্যাপী শরীরে শক্তি যোগান দেয়ার জন্য চাই সে ধরনের খাবার। কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার শরীরে অনেক সময় ধরে শক্তি যোগান দিতে পারে। তাই এ খাবারগুলো বেশি খাওয়া প্রয়োজন। গমের রুটি, বার্লি, ওটস, ময়দা, শস্যদানা, বাসমতি চালে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ধীরে ধীরে বিপাক হয়। তাই এরাও বেশিক্ষন ধরে এনার্জি সরবরাহ করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হল শস্যদানা ও শস্যবীজ, শাকসবজি, ফলমুল, চামড়াসহ আলু ইত্যাদি।
ভাঁজা পোড়া খাবার রমযান মাসে না খাওয়াই শ্রেয় যদিও রমযানে ভাজা-পোড়া না হলে আমাদের চলেই না। পাকুরা, সমুচা, বেগুনি, পেঁয়াজু এগুলো বাদ দেয়াই ভাল। এ ধরণের খাবারগুলো বুকজ¦লার অন্যতম কারণ।
মিষ্টি, কেক, বিস্কুট, চকলেট, পেস্ট্রি, পরোটা ও অন্যান্য চর্বি ও তৈলাক্ত খাবার না খাওয়া উত্তম। বিভিন্ন ধরণের ফ্রাই খাওয়া বাদ দিন। ডিপ ফ্রিজে রাখা খাবার না খাওয়াই ভাল। তবে পুডিং, রসমালাই খেতে পারেন।
চা, কফি ও ক্যাফেইনযুক্ত কোলা খাওয়া থেকে বিরত হোন। এগুলো শরীর থেকে পানি বের করে পানিস্বল্পতা করতে পারে।
সেহেরির খাবারের মাধ্যমে আমরা সারাদিনের এনার্জি পাই। তাই এ খাবারটি হতে হবে পুষ্টিকর। এ সময় ফাইবার ও কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খাবেন বেশি করে।
ইফতার হতে হবে হাল্কা। ইফতারি বলতে আমরা সচরাচার যা বোঝাই তা না খাওয়াই ভাল। খেঁজুর খুব দ্রুত এনার্জি জোগায় তাই খেঁজুর খেতে পারেন বেশি করে। সারাদিনের পানির চাহিদা পুরন করতে পানির পাশাপাশি ফলের জুস পান করুন বেশি করে। তবে সাবধান দোকানের জুস খাবেন না। এগুলো মিষ্টি ছাড়া আর কিছুই নয়। ইফতারির পর থেকে একটু একটু করে পানি প্রচুর পানি পান করতে থাকুন।
প্রিয় রসুল (স.) ইফতারিতে দুধ, খেঁজুর খেয়েছেন আর সেহেরিতে রুটি, ওটস সাথে ভেঁড়া বা ছাগলের মাংস। তাই বেশি খাবার না খেয়ে পরিমিত খেয়ে সুস্থ থেকে রোজা পালন করুন।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে