এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : স্বপ্ন ছিল এক ছেলের কিন্তু সেই স্বপ্নে গুঁড়েবালি। ছেলের খবর নেই, বছরে কোলজুেড়ে আসে তার কন্যা-সন্তান। ছেলের আশায় একে একে তার কোলজুড়ে আসে ১৫ কন্যা-সন্তান।
বৃহস্পতিবার ভারতের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর স্বপ্ন ছিল কেবল একটা ছেলের। কিন্তু ছেলে আর হচ্ছে কই। বছর বছর কন্যা-সন্তানের জন্ম। কর্নাটকে এভাবেই পনেরটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মহিলা।
দিনমজুরি করে সংসার চালান শেঠানি বাই আর তার স্বামী গোবর্ধন রাঠৌর । দারিদ্র্যের সংসারে কালঘাম ছুটে যায়। কিন্তু ছেলের স্বপ্নও ভর করে। পনেরটি কন্যা-সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শেঠানিবাই।
এর মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত এগার জুন শেঠানির ছোট মেয়ের জন্ম হয়। এরপর থেকে খোঁজ নেই স্বামী গোবর্ধনের। কর্মসূত্রে মুম্বাইতে থাকেন গোবর্ধন। স্ত্রীর ফোনও ধরছেন না। ছোট মেয়েটিকে বাড়ি আনতে পারেননি শেঠানি। হাসপাতালেই রেখে এসেছেন।
তার করুণ আর্তি, আমি কী করতাম? কী খাব জানি না? সরকারও কিছু দিচ্ছে না। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।
দিনমজুরির সংসারে এতগুলো পেট। সংসার চালানোর সঙ্গেই মেয়েদের বড় করে তোলার চিন্তা। তার মধ্যেই তিনজনের বিয়ে দিয়েছেন। বাকিরা ছোট বয়স থেকেই সামিল হয়েছে রুজির।
শেঠানির বিষয়ে জেনে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তর তাকে এক লাখ টাকা দেবে বলে জানিয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে