এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : এমন কিছু ব্যাধি রয়েছে উন্নত চিকিৎসাতেও নিরাময় হয় না, কিন্তু তা শুধু ব্যায়ামেই নিরাময় হতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধি। এমন কি মস্তিষ্কের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের ফলে সৃষ্ট শারীরিক জটিলতা ও বিকলাঙ্গতা নিরাময়ে ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
সম্প্রতি সায়েন্টিফিক এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এ তথ্য।
এ ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের রোগের সাধারণ লক্ষণের বাইরে মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশনে ঘাটতিসহ উদ্বেগ ও বিষণ্নতার শিকার হতে দেখা যায়।
খালিজ টাইমস এর খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) ইনট্রামুর্যাল রিসার্চ বিভাগের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর ক্যাথেরিন বুশনেল জানান, সুস্থ ব্যক্তি এবং বিভিন্ন ধরনের প্রদাহে আক্রান্তদের মস্তিষ্কের প্রকৃতিতে পার্থক্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে ইমেজিং স্টাডির মাধ্যমে।
ইমেজ নিরীক্ষায় দেখা যায়, এ ধরনের প্রদাহের সঙ্গে মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার কমে আসার সম্পর্ক রয়েছে। প্রদাহ ছাড়া বিষণ্নতাও মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার কমে আসার জন্য অনেকাংশে দায়ী।
আমেরিকান পেইন সোসাইটির বার্ষিক সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এ কথা জানান বুশনেল। তিনি আরো জানান, যারা নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন, তাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রে ম্যাটারের পরিমাণ অনেক বেশি দেখা যায়। গ্রে ম্যাটার হলো মস্তিষ্কের এক ধরনের টিস্যু, যার অবস্থান মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স ও সাবকর্টিকাল এলাকায়।
গ্রে ম্যাটার কমে গেলে স্মৃতিভ্রষ্টতা, অতিরিক্ত ভাবপ্রবণ হয়ে ওঠা এবং কগনিটিভ ফাংশনে (মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপ; যার মাধ্যমে তৈরি হয় পারিপার্শ্বিকতা চেনার সক্ষমতা) ঘাটতি দেখা দেয়।
বুশনেল বলেন, ‘যোগব্যায়ামের অভ্যাস তৈরি হলে মস্তিষ্কে প্রদাহের এ ধরনের প্রতিক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।’ এনআইএইচ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দেহ-মস্তিষ্কের সংযোগ নিয়ে গবেষণা থেকে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছা সম্ভব হয় বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, ‘যোগব্যায়ামের সময় যোগীদের মস্তিষ্কে গ্রে ম্যাটার বৃদ্ধি এ ধরনের ব্যায়ামের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারণ সম্পর্কেরই পরিচয় দেয়। সবার জন্য ভালো খবর এই, দেহ-মনের সংযোগে এ ব্যায়ামাভ্যাস দুরারোগ্য প্রদাহের ফলে গ্রে ম্যাটার হারানো থেকে রক্ষা করে মস্তিষ্ককে।’
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি