ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু: আমরা রমযান ছাড়া অন্য সময়ে তিনবেলা খাই। নিয়ম করেই খাওয়া হয়। রমযান আসলে খাওয়ার এ নিয়মে বাত্যয় ঘটে। সারাদিন না খেয়ে থাকি। আবার রাতের অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার খাই। এতে পাকস্থলির ওপর জাপ পড়ে। দেখা দেয় এসিডিটির সমস্যা।
আমরা অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমযানে বেশি খাই। এ খাবারগুলোও কিন্তু স্বাস্থ্য সম্মত নয়। ইফতারি বলতে আমরা যা বুঝি তা খেলে তো পেটে সমস্যা হবেই। সারাদিন না খেয়ে সন্ধ্যায় যখন আপনি তেলে চুপচুপে পেঁয়াজু পেটে ভরবেন পাকস্থলি বেচারা কি তা সহ্য করতে পারবে? পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা তো হতেই পারে। অনেকে ইফতারির সাথে রাজ্যের খাবার খান এতেও পাকস্থলির ওপর চাপ পড়ে। আর আগে থেকে যাদের আলসারের সমস্যা আছে তাদের তো কথাই নেই।
রোজার শুরুর দিনগুলোতে যে কেউ এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে হলে রমজান মাসে অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত ও সুষম খাদ্য খান। এবারে বেশি পরিমানে না খেলে অল্প অল্প করে খেতে পারেন। ছোলা-মুড়ি পেটে এসিডিটি বাড়ায়। সুস্থ থাকতে চাই বাদ দিতে পারেন। সেই সাথে ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার কম খান।
ইফতারিতে ফলের জুস বেশি করে পান করুন। ইফতারির পর অল্প অল্প পরিমানে কিন্তু বার বার পানি ও পানীয় পান করুন। রান্নার সময় তেল একটু কমিয়ে দিন।
বাইরের হালিম কিন্তু পেটে ব্যথা, বুক জ¦লা বাড়াবে, ভেবে দেখুন খাবেন কিনা?
বন্ধ করুন কফি ও ধুমপান। একটু উচু বালিশে শুতে পারেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য এন্টাসিড, এন্টিহিসটামিন বা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর যেমন ওমিপ্রাজল, পেন্টোপ্রাজল ইত্যাদি ওষুধ খেতে পারেন।
যাদের আলসার আছে তারা রোজা রাখার আগে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে