এক্সক্লুিসভ ডেস্ক : ৩০ জুন ভেঙে পড়তে পারে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যব্স্থা। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন গবেষকরা। তারা বলছেন, ৩০ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে ‘ওয়ার্ল্ড ক্লকে’ যুক্ত হবে বাড়তি এক সেকেন্ড। আর্থ টাইম ও অ্যাটমিক টাইমের সামান্য গরমিল মেটাতেই ঘটতে পারে এ দুর্ঘটনা।
গবেষকদের আশঙ্কা, এর ফলে ইন্টারনেট পাওয়ার সিস্টেমে ব্যাপক গোলযোগ ও ত্রুটি দেখা দিতে পারে। ফলে কিছু সিস্টেম ভেঙে পড়তে পারে, কিছু সিস্টেম আবার কয়েক সেকেন্ডের জন্য থমকে যেতে পারে। বৈজ্ঞানিকেরা এই অতিরিক্ত এক সেকেন্ডকে বলছেন “লিপ সেকেন্ড”।
লিপ সেকেন্ড নামক এই বাড়তি সেকেন্ড যোগ হচ্ছে ঘড়িতে কারণ, পৃথিবীর ঘুরপাক খাওয়ার গতি কমছে। প্রতিদিন এক সেকেন্ডের প্রায় দু’হাজার ভাগের দুইভাগ করে পৃথিবীর গতি কমছে। সেই সময়ের ক্ষতিপূরণের জন্যই ওয়ার্ল্ড ক্লকে ৩০ জুন যোগ হবে বাড়তি লিপ সেকেন্ড। গাণিতিক হিসাব মেলাতে আর্থ টাইমকে হতে হবে অ্যাটমিক টাইমের সমান।
বিজ্ঞানিরা বলছেন, পৃথিবীর আহ্নিক গতি নিয়ম করে কমেই চলেছে। ডাইনোসরদের আমলে নাকি পৃথিবী নিজের কক্ষপথে একপাক ঘুরতে সময় নিত ২৩ ঘণ্টা। ১৮২০ সালে কাঁটায় কাঁটায় ২৪ ঘণ্টায় পৃথিবী নিজের কক্ষপথে একপাক ঘুরে নেয়। ফের কমতে শুরু করেছে পৃথিবী আহ্নিক গতি।
সেই ১৮২০ সাল থেকে এক একটি ‘সোলার ডে’-র লম্বা হয়ে চলেছে। দৈনিক ২.৫ মিলিসেকেন্ড করে বাড়ছে এক একটি দিন। ১৯৭২ সালে শেষবার ওয়ার্ল্ড ক্লকে যুক্ত হয়েছিল এক সেকেন্ড। ফের এ মাসে যোগ হবে বাড়তি সেকেন্ড। যা এ নিয়ে ২৬ বার।
কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের দাবি, কয়েকটি সিস্টেমে ৫৯ সেকেন্ড দেখানোর পরে, পরের মিনিটে যাওয়ার বদলে কম্পিউটারে ৬০ সেকেন্ড দেখাতে পারে। বা ৫৯তম সেকেন্ডটি দু’বার দেখাতে পারে।
এখন দেখার বিষয়, গাণিতিক হিসাব সামলায় যেসব কম্পিউটার, তারা কী করবে ৩০ জুন? সিস্টেম ক্র্যাশ করবে? নাকি সামলে নেবে? দুনিয়া জুড়ে বৈজ্ঞানিকদের চোখ থাকবে আগামী ৩০ জুন।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/বিএসএস/এসএস