মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৩:০৩

ভাগ্যের কি নির্মম পরিণতি, কোটিপতি থেকে চা বিক্রেতা

ভাগ্যের কি নির্মম পরিণতি, কোটিপতি থেকে চা বিক্রেতা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: নিয়তি একেই বলে। ক’দিন আগেই যার দামি গাড়ি থেকে শুরু করে বাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স, স্মার্টফোন এমনকি প্রেমিকাকেও কিনে দিয়েছিলেন গাড়ি থেকে শুরু করে স্মার্টফোন পর্যন্ত। কিন্তু জলের মতো টাকা খরচ করা মানুষটি হঠাৎ করেও চা বিক্রেতাতে পরিণত হয়েছেন। বলছি গাজার ধনকুবের  ‍মুহম্মদ সাউইরির কথা।  

তার জীবনে কি এমন ঘটনা ঘটেছিল?
এক সময় গাজার সঙ্গে মিশরের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিত সুড়ঙ্গ। কয়েক হাজার মানুষের মতো সাউইরিও সুড়ঙ্গের ব্যবসায় ফুলে ফেঁপে ওঠেন অচিরেই। গাজা থেকে সুড়ঙ্গের সাহায্যে গরু, চিড়িখানার বিভিন্ন জন্তু, সিমেন্ট, সোডা, গাড়ি ইত্যাদি পাঠানো হত মিশরে। হাইস্কুল ড্রপ-আউট সাউইরি মাত্র ১৭ বছর বয়সে এই কাজ শুরু করে মাত্র তিন বছরেই হয়ে যান ধনকুবের। রাজনৈতিক অশান্তিই তাঁকে ক্ষমতার গজদন্ত মিনার থেকে এক ধাক্কায় ফেলে দিয়েছে রাজপথে।

ইজরায়েলের হানায় ক্ষতবিক্ষত গাজায় গত এক বছরে বেকারত্ব বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। যুদ্ধের জেরেই গাজার সঙ্গে সুড়ঙ্গ বাণিজ্যে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মিশর। মিশরের বক্তব্য, ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই হামাস জঙ্গিদের পাঠানো হচ্ছে মিশরে। এমনকি জঙ্গিদের নানা অস্ত্রও ওই সুড়ঙ্গ দিয়েই পাচার করা হচ্ছে অবাধে। তাই সুড়ঙ্গ বাণিজ্য কার্যত বন্ধই করে দিয়েছে মিশর। আর এতেই বিপদে পড়েন সাউইরি। রাতারাতি রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় একসময়ের ধনকুবের এখন ঠেলা গাড়িতে চা, কফি, আইস ক্রিম বিক্রি করেন।

মায়ের থেকে ৬৫ ডলার ধার করে গাজার একটি পার্কে একফালি জায়গা কিনেছেন সাউইরি। চা বিক্রিতে তাঁর সঙ্গ দিচ্ছে তাঁর ছোট্ট ভাইপোও। একে একে বিক্রি করেছেন সব কিছু। গাড়ি, বাড়ি, স্মার্টফোন, কম্পিউটার– সব কিছু। আজ তিনি নিঃস্ব।

শুধু সাউইরিই নন, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এখন একসময়ের বহু ধনী ব্যক্তিরই পেশা চা, কফি, আইস ক্রিম, খবরের কাগজ বিক্রি।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে