মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫৬:৫৭

কেমন বিয়ে পাগল, বিয়ের জন্য ৪৬ বার এসএসসি পরীক্ষা!

কেমন বিয়ে পাগল, বিয়ের জন্য ৪৬ বার এসএসসি পরীক্ষা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বয়স কম হয়নি কিন্তু জেদ আছে ভীষণ।  পরীক্ষায় যে তাকে পাস করতেই হবে।  তার জীবনে সেরা স্বপ্ন ও লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল একটি ডিগ্রি অর্জন করা।  অপ্রকাশিত শপথও ছিল তার।  এ জন্য একবার, দুবার নয় একাধারে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন ৪৬ বার।  কেমন বিয়ে পাগল আদু ভাই।

হাড় জিরানি, চামড়া জড়ানো ৮১ বছরের ওই বৃদ্ধ প্রতিবছরই স্বপ্ন দেখতেন, এবার তিনি পাস করবেন।  কিন্তু ভাগ্যের শিকে কপাল খারাপ।  এবার যখন পরীক্ষা দিতে বসেন, তখন তার এক বুক আশা ছিল, জীবনে শেষপ্রান্তে হলেও একটি ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।  

কিন্তু বুধবার প্রকাশিত এসএসসির (দশম শ্রেণি) বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলে গুঁড়েবালি।  ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি তার।  অবশ্য গতবারের চেয়ে একটু ভালো ফল করেছেন তিনি।  গত বছর সব বিষয়ে ফেল করলেও এবার একটিতে পাস করেছেন তিনি।  

বিষয়টি সামাজিক বিজ্ঞান।  ১০০-এর মধ্যে পেয়েছেন তিনি ৩৪ নম্বর।  ইংরেজিতে ০, হিন্দিতে ৩, গণিতে ৯ ও সংস্কৃততে ৭ নম্বর পেয়েছেন তিনি।  যে বিষয়টিতে এবার পাস নম্বর পেয়েছেন তিনি গত বছর পেয়েছিলেন  শূন্য।  

এমন ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যের রাজ্যের আলওয়ার জেলার আদু ভাইয়ের ক্ষেত্রে।  বাস্তবের আদু ভাইয়ের আসল নাম শিব চরণ যাদব। রোববার এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান টাইমস, ডেইল মেইল।

পরীক্ষায় ফেল করলেও আলওয়ার জেলার বেহরর শহরের সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মূল আকর্ষণ ছিলেন এই বৃদ্ধ পরীক্ষার্থী।  এবারের পরীক্ষা নিজ গ্রাম কোহরি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যান তিনি।  পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তার বাসস্থানে ভিড় করতে থাকেন দেশি-বিদেশি বেশকিছু সংবাদকর্মী।

বারবার ফেল করার পরও পরীক্ষা দেন কেন- জানতে চাইলে শিবচরণ ডেইলি মেইলকে বলেন, যৌবনে করা শপথ রক্ষা করতেই এ কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।  শিবচরণ বলেন, দশম শ্রেণি পাস না করলে তিনি বিয়ে করবেন না। কিন্তু দশম শ্রেণি পাস হয়নি; তাই বিয়েও হয়নি।

এখন তো আর বিয়ের সুযোগ নেই- বৃথা চেষ্টা করে লাভ কী এমন প্রশ্নে এক গাল হেসে দিয়ে সাংবাদিকের শিবচরণ হিন্দিতে বলেন, বিয়ের সুযোগ নেন, তাই আমি বিশ্বরেকর্ড গড়ার চেষ্টা করছি।

পরীক্ষা পাসে প্রাণপণ চেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এবার প্রচুর খেটেছি। তবে বয়স হওয়ার কারণে লেখার ক্ষমতা ও গতি দুটোই কমছে।  দৃষ্টিশক্তি কমার কারণে এমনটা হচ্ছে।  জানা উত্তরও লিখতে পারছি না।

শিবচরণ এখন থাকেন গ্রামের একটি মন্দিরে। তার পরিবারের কেউই বেঁচে নেই।  ৮১ বছরের এই বৃদ্ধ আগামী বছরও পরীক্ষা দিতে চান।  আগামী বছর আরো কঠিন পরিশ্রম করে ফলাফল তার অনুকূলে আনতে চান।  পাস যে তাকে করতেই হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে