এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রোবট খাবার পরিবেশন করছে রেস্তোরায়। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ি ঠিকঠাক মতো খাবারও তারা সরবারহ করছেন নিয়ম মেন। এমন কি এই রেস্তোরাটি গ্রাহককে সেবাও দিয়ে যাচ্ছে নন স্টপভাবে! এমন দৃশ্য এতোদিন সিনেমা বা কল্প কাহিনীতে শোনা গেলেও এবার কিন্তু এটাই বাস্তব করেছে চীন।
শুধু খাবার পরিবেশনই নয়, রোবট খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি টেবিল পরিস্কার, অর্ডার গ্রহণ, রান্নাবান্নাসহ সব কিছুই করছে! ভাবুন তো একবার বিষয়টি কি রোমাঞ্চকর?
চীনের কানশান শহরে রোবট পরিচালিত এমনই একটি রেস্তোরাঁর যাত্রা শুরু হয়েছে। এই রেস্তোরাঁয় ক্রেতাদের স্বাগতও জানাচ্ছে যন্ত্রমানবরাই।
এ রেস্তোরাঁর প্রবেশদ্বারে ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে রাখা হয়েছে দুটি রোবট। খাবার পরিবেশনের জন্য রয়েছে চারটি ছোট মানবাকৃতির রোবট। আর রান্নাঘরে খাবার ভাজা ও পুডিং বানানোর জন্য রয়েছে দুটি রোবট। এছাড়া রান্নার কাজে সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য রয়েছে আরো একটি রোবট।
রোবট পরিচালিত রেস্তোরাঁটির প্রতিষ্ঠাতা চীনের নাগরিক সং ইউগ্যাং জানিয়েছেন, রোবট দ্বারা রেস্তোরাঁ চালনার বুদ্ধি প্রথমে তিনি তার মেয়ের কাছ থেকেই পান। ভাবনাই শেষ পর্যন্ত রেস্তোরাঁয় রোবট ব্যবহারের পরিকল্পনা করেন তিনি।
তিনি জানান, রোবটগুলো দৈনন্দিন ব্যবহৃত ৪০টি বাক্য বুঝতে সক্ষম। আর মজার ব্যাপার হলো এরা কখনো অসুস্থ হবে না কিংবা ছুটি চাইবে না। রোবটগুলো ২ ঘণ্টা চার্জ দিলে এক টানা ৫ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম।
রেস্তোরাঁয় নিয়োজিত প্রতিটি রোবট তৈরিতে খরচ পড়েছে ৪০ হাজার ইয়েন বা সাড়ে ৬ হাজার ডলার। এই পরিমান অর্থ রেস্তোরাঁর কাজে নিয়োজিত একজন মানবকর্মীর বার্ষিক বেতনের সমান।
উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বেড়ে যাওয়ায় চীনসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে দৈনন্দিন কাজে রোবটের ব্যবহার বাড়াচ্ছে। শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির সঙ্গে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে শিল্পক্ষেত্রে রোবট ব্যবহারে শীর্ষে থাকা জাপানকে এরই মধ্যে পেছনে ফেলেছে চীন।