এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ম্যাগি নিয়ে বিশ্বজুড়ে হইচই চলছে। খাবারে সীসার আতঙ্কে হঠাত্ জেগে উঠেছে সবাই। কিন্তু বাস্তব বলছে, প্রতিদিনই আমাদের শরীরে ঢুকছে সীসার বিষ। শাক সবজি থেকে শুরু করে মাছ। সীসার ফাঁদ পাতা ভুবনে বিষিয়ে যাচ্ছে সবই। তার খেয়াল কে রাখে!
বিষ কি শুধু বাইরের খাবারে! বাড়িতে তৈরি তরকারি আর মাছের ঝোলেও থাবা বসিয়েছে সীসা। বাজারের থলে থেকেই ঘরে ঢুকছে বিষ। ধাপার ধারে টাটকা সবজি দেখে গাড়ি থামিয়ে কেনেন অনেকে। কতটা নিরাপদ সেই সবজি?
সবজিতে বিষ
বর্জ্যভূমি ধাপা। ভারী ধাতু হওয়ায় মাটির নীচে জমে বিপজ্জনক সীসা। তাতে বিষিয়ে যাচ্ছে মাটির নীচের সবজি। ন্যাশনাল রেফারাল সেন্টার ফর লেড পয়জনিং ইন ইন্ডিয়ার গবেষণায় জানা যাচ্ছে-
ধাপায় উত্পাদিত গাজরে সীসার সহনশীল মাত্রা ৬ মিগ্রা. প্রতি কেজি। বাস্তবে রয়েছে ১৩.৯২ মিগ্রা প্রতি কেজি।
মুলোয় সীসার সহনশীল মাত্রা ৬ মিগ্রা প্রতি কেজি। রয়েছে ১২.৯০ মিগ্রা প্রতি কেজি।
বিটে সীসার সহনশীল মাত্রা ৬ মিগ্রা প্রতি কেজি। রয়েছে তার অনেক বেশি। ১২.৬০ মিগ্রা প্রতি কেজি।
বাঁধাকপিতে সীসার সহনশীল মাত্রা ৬ মিগ্রা প্রতি কেজি। অথচ রয়েছে ১২.৩৯ মিগ্রা প্রতি কেজি।
বেগুনে সীসার সহনশীল মাত্রা ৬ মিগ্রা প্রতি কেজি। ধাপার বেগুনে সীসার উপস্থিতি ১০.৭২ মিগ্রা প্রতি কেজি।
ফুলকপিতে সীসার সহনশীল মাত্রা ৬ মিগ্রা প্রতি কেজি। রয়েছে ৯.৭৩ মিগ্রা প্রতি কেজি।
সীসার ছোবল থেকে রক্ষা নেই মাছেরও।
মাছে বিষ
পিকনিক গার্ডেনের ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রির লেড মিশছে ধাপা ও পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে। গবেষণায় জানা গেছে, এখানকার জলাভূমিতে-
মৃগেলে সীসার সহনশীল মাত্রা - ০.৪ মিগ্রা প্রতি কেজি। বর্ষার আগে উপস্থিতি - ০.৪৬ মিগ্রা প্রতি কেজি।
কাতলায় সীসার সহনশীল মাত্রা - ০.৪ মিগ্রা প্রতি কেজি। রয়েছে ০.১১ মিগ্রা প্রতি কেজি।
রুই মাছে সীসার সহনশীল মাত্রা - ০.৪ মিগ্রা প্রতি কেজি। রয়েছে ০.১০ মিগ্রা প্রতি কেজি।
মাত্রাতিরিক্ত সীসার কারণে বন্ধ্যাত্ব, ক্যান্সার, স্মৃতি লোপ, কিডনি ড্যামেজ পর্যন্ত হতে পারে। ম্যাগিকাণ্ডের পর প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্যের গুণমান নিয়ে নজরদারি শুরু হলেও, এই ভয়ঙ্কর তথ্য অনেকেরই অজানা।