এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ ছোটগল্পের এ বাক্যের মতোই ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে এবং টুইটারে বার্তা পোস্ট করে শারদ পাওয়ার প্রমাণ করলেন তিনি এখনো জীবিত।
গত ২৪ জানুয়ারি পুনের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ভারতের ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির এ নেতাকে। মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয় ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায়। আজগুবি এমন খবর পেয়ে শারদ পাওয়ার নিজেই জানালেন, আমি এখনো বেঁচে আছি। অবশ্য এর আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায়।
মঙ্গলবার সকালে নিজের মৃত্যুর খবর উড়িয়ে দিয়ে বেঁচে থাকার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন ভারতের রাজ্যসভার প্রবীণ এ সদস্য। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই চালাচালি হচ্ছিল ওই ভুয়া খবর।
আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়া না হলেও বিদ্যুৎ গতিতে ছড়াতে থাকে সেই ভুয়া খবর। একেবারে দিন-তারিখ ও সময় উল্লেখ করেও গুজব ছড়ানো হয়।
হোয়াটসঅ্যাপে ছড়ানো ওই মেসেজে লেখা ছিল, ‘মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৩৯ মিনিটে পুনের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন মারদ পাওয়ার। প্রজাতন্ত্র দিবসের জন্য খবরের সত্যতা জানা যায়নি।
পুনের ওই হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন, ওই গুজবের সত্যতা আর যাচাই করে দেখেননি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭০-এর এ রাজনীতিক। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন আগামী ২৭ জানুয়ারি।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই নিজের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন শারদ পাওয়ার। পরে এক টুইটার বার্তায় সেই গুজব উড়িয়ে দেন তিনি। তিনি তাতে লিখেন, আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। আপনাদের শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ। হাসপাতালের বেড থেকে ইউটিউবে নিজের একটি ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে প্রমাণ করেন যে, তিনি বেঁচে আছেন। সূত্র : এবিপি
২৬ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম