মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৪৮:৩৮

বর্জন করুন ৫ অভ্যাস, আয়ু বাড়বে এমনিতেই!

বর্জন করুন ৫ অভ্যাস, আয়ু বাড়বে এমনিতেই!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : কবে, কখন কীভাবে মৃত্যু এসে হাজির হয় তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।  মত্যেুর পূর্বাভাস করতে পারে না কেউ।  এ ক্ষমতাও নেই কারো।  সর্বময় ক্ষমতা মহান আল্লাহ তা'য়ালার কাছে।  তবে ৫টি অভ্যাস বর্জন করলে নিঃসন্দেহে বাড়তে পারে আয়ুরেখা।

১) সূর্যাস্তের পর দই খাওয়া

দই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।  কিন্তু গরুড়পুরাণ অনুসারে, রাতে দই খেলে মারাত্মক পেটের অসুখে ভুগতে হতে পারে।  আয়ুর্বেদেও রাতে দই খাওয়া নিষিদ্ধ।  রাতের খাওয়া সারার পর সাধারণত কঠিন পরিশ্রম করা হয় না।  এ কারণে দইয়ের মত ভারী খাদ্য হজম হয় না।  এর জেরে পরবর্তীকালে জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২) শুকনো মাংস খাওয়া

শুকিয়ে রাখা মাংস মানেই তা বাসি।  এ ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়।  এই মাংস খাওয়ার সময় শরীরে অনায়াসে প্রবেশ করে সেই সমস্ত জীবাণু।  ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে শরীরে ঘাঁটি গাড়তে পারে মারাত্মক রোগ।

৩) ঘুম থেকে উঠতে দেরি

প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙা জরুরি।  আয়ুর্বেদে দিনশুরুর সময়কে ব্রাহ্ম মুহূর্ত বলা হয়েছে।  এ সময় বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করা বিধেয়।  নিঃশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু ও দূষণমুক্ত বায়ু শরীরে প্রবেশ করলে প্রাণমন সতেজ থাকে, শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক হয় এবং রক্ত পরিষ্কার থাকে।  ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার অর্থ প্রকৃতির এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া, যা প্রকারান্তরে আয়ুর ঘাটতি ঘটায়।

৪) শরীরে শ্মশানের ধোঁয়া প্রবেশ

হিন্দু মতে, শ্মশানে নশ্বর দেহ পুড়িয়ে ফেলা রীতি।  কিন্তু মৃতদেহ সত্‍কারের সময় কোনোভাবেই যেন জীবিতদের দেহে সেই ধোঁয়া প্রবেশ না করে। আসলে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রচুর ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়।  জীবিতদের পক্ষে যা অত্যন্ত ক্ষতিকর।  পোড়ানো ধোঁয়া বেয়ে সেই সমস্ত জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে কঠিন অসুখে প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে।

৫) সকালে স্ত্রীর পাশে না থাকা

এসময় স্ত্রীর পাশে থাকলে হয়তো অন্যদিকে মন যেতে পারে।  তাই দিনের শুরুতেই আপনার ক্লান্তি আসতে পারে।  ক্রমে এর জেরে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা লোপ পায়।  কঠিন অসুখে প্রাণবিয়োগ ঘটা অসম্ভব নয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে