এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ছিল মৃত, হয়ে গেল জীবিত। এমন আজব কাণ্ড ভারতের উত্তর দিনাজপুরে। কী করে এমনটা হলো! কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দারা। ঘোর কাটছে না পুলিশ কর্তাদেরও।
কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা ভবেশ দাস। তেষট্টি বছরের বৃদ্ধ বাড়িতে একাই থাকেন। শুক্রবার রাতে শুতে যান। শনিবার সারাদিন দেখা যায়নি। ঘরও বন্ধ। ঘরে একা বয়স্ক মানুষ। দুশ্চিন্তায় ডাকাডাকি শুরু করেন প্রতিবেশীরা।
কিন্তু অনেক ডাকাডাকিতেও সাড়া মেলেনি। বাধ্য হয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে দেখে খাটের ওপর শুয়ে রয়েছেন ভবেশ দাস। কোনো সাড়া-শব্দ নেই।
ভবেশের ভবলীলা সাঙ্গ হয়েছে। নিশ্চিত হয়ে যায় পুলিশ। নিশ্চিত প্রতিবেশীরাও। সুরতহালের পর দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি আনতে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু গাড়ি আসতেই দেখা যায়, বিছানা থেকে দেহ উধাও। তা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। দেহের খোঁজে পুলিশের ঘাম ঝরে। প্রতিবেশীরা তাজ্জব। হঠাত্ দেখা গেল ঘরের দরজার পেছনে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেহ।
জ্যান্ত দেহ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভূতের আতঙ্ক পেয়ে বসে প্রতিবেশীদের। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যায় ইহলোকেই রয়েছেন ভবেশ। কী করে এমন হলো? উত্তর খুঁজছেন সবাই।
ভবেশ দাস এখন কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে তাকে দেখতে ভিড়ও করছেন অনেকে। ডাক্তাররা বলছেন, বুড়ো বড়ই দুর্বল। সূত্র : জিনিউজ