মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:০৬:২৪

বিশ্বের বিস্ময়কর পাঁচ হোটেল!

বিশ্বের বিস্ময়কর পাঁচ হোটেল!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিদেশ ভ্রমণের শখ যাদের আছে, তাদের মনের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য আশ্চর্য সব আয়োজন।  বরফের ঘরে রাত কাটানো কিম্বা আরামদায়ক শয্যায় শুয়ে আকাশের তারা খসা দেখা অথবা তুষারপাত দেখা বা সাগরের তলদেশে শুয়ে তিমি বা হাঙ্গরদের সাথে গল্প করা সব আয়োজনই আছে। শুধু আপনার চাহিদা থাকতে হবে। বিশ্বের এমনই সমস্ত আশ্চর্য কয়েকটি হোটেলের তথ্য তুলে ধরা হলো।


ফিজি’র কাটাফাঙ্গা দ্বীপের সমুদ্র তলদেশে অবস্থিত এই ফাইভ স্টার হোটেল। পৃথিবীর প্রথম সমুদ্রতলদেশের এই হোটেল তৈরীতে প্রায় তের বছর সময় লেগেছে। চল্লিশ ফিট সাগরের তলদেশে অবস্থিত এই হোটেলে মোট পচিঁশটি স্যুট বা কামরা আছে। এতে জিম, বার এমনকি সমুদ্র তলদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানের কমিউনিটি সেন্টারও রয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহের চার্জ  ৯০০০ ডলার ধরা হয়েছে। তাতেও এক লক্ষ ৫০ হাজার অতিথি এখন ওয়েটিং লিষ্টে আছে।

সমুদ্রের গায়ে প্রাকৃতিক চুনাপাথরের গুহাকে নিয়ে তৈরি এই হোটেল৷ গুহা হোটেল৷ গুহায় বসে নীল সমুদ্র দেখার শখ খাকলে, তা যেমন পূরণ হবে তেমনই বিলাসিতার কোনও অভাব হবে না৷ ডাইনিং হল, স্পা, রিসর্ট, অত্যাধুনিক সমস্ত ব্যবস্হাই আছে এখানে৷ আর সবচেয়ে সুন্দর হল গুহার ছাদে সুমদ্র দেখতে দেখতে ক্যান্ডেল নাইট ডিনার৷

ঘরের মধ্যে নরম বিছানা, ফায়ার প্লেসের উষ্ণতা৷ সেই বিছানায় ততোধিক নরম কম্বল মুড়ি দিয়ে বরফ ঢাকা প্রকৃতি আর বরফ ফেরার দেখার ব্যবস্থা করতে ‘গ্লাস ইগলু' রয়েছে এখানে৷ রয়েছে একদম আসল ‘ইগলু'ও৷ বাইরের উষ্ণতা -৪০ ডিগ্রি হলেও, বরফের ঘরের তাপমাত্র থাকবে -৩ ডিগ্রি৷ থাকবে নরম-গরম কম্বল থেকে বিলাসের সমস্ত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা৷ আর যদি নিজেকে রাজকন্যা ভেবে কয়েকটা রাত কাটাতে চান, এখানে আছে রাজকীয় ঘরের রাজকীয় সজ্জাও৷

 
বরফে তৈরি হোটেলটির পরতে পরতে কারুকাজ৷ বরফ কেটে তৈরি এমন শিল্প তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো৷ বরফের প্যালেসে রাজকীয় শয্যা৷ খাওয়ার ঘর, বাথরুম৷ বিলাস ও বিনোদনের যাবতীয় ব্যবস্হা৷ প্রত্যেক বছর শীতে নতুন করে খোলে হোটেল৷ বদলে যায় বরফের চোখ ধাঁধানো কারুকাজ।


চিলির গভীর জঙ্গলের মধ্যে রূপকথার বাড়ি মতো এই হোটেলটি৷ ছোট্ট একটা পাহাড়ি দুর্গের মতো৷  হোটেলর মাথা থেকে নেমে আসছে ঝরনার স্রোত৷ আর ভিতর থেকে মনে হয়, যেন একটা বিশাল গাছের গুঁড়ি৷

৭ জুন ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/এমহক

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে