এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সারাটা জীবন কাটিয়েছেন অন্যের সেবায়। ৪৯ বছর বয়সে এসে মনের মানুষ খুঁজছেন নিকি। নিজের জন্য সবচেয়ে যোগ্য মানুষটিকে গোটা দেশ ঘুরে খুঁজে বের করবেন বলে তিনি ঠিক করেছেন তিনি।
এজন্য তিনি কিনতে চান একটি ক্যাম্পার ভ্যান। তাতে চড়েই খুঁজে নেবেন জীবনসঙ্গীকে। এই দামি গাড়ি কিনতে পছন্দের তিনটি জিনিস ছাড়া পার্থিব সমস্ত কিছু বেচে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিকি।
স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা নিকি টেলর। পেশায় বিমানসেবিকা। এক পুত্র সন্তানের মা। বলা ভালো সিঙ্গল পেরেন্ট। বাড়ি, ছেলে, চাকরি এসব সামলানো ছাড়াও কয়েক বছর অসুস্থ ছোট বোনকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন নিকি।
বোনের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের রোগ সারিয়ে তুলতে দিনরাত এক করেছেন। এবার তিনি নিজের কথা ভাবতে চাচ্ছেন। নিকি জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একজন দারুণ মানুষকে আমি ভালোবাসব। কিন্তু এমন কেউ আমার জীবনে আসেনি। তাই আমিই তার খোঁজে বেরোচ্ছি।
মনের মানুষকে খুঁজতে অদ্ভূত এক অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপ করবেন বলে ঠিক করেছেন নিকি। তিনি একটি ক্যাম্পার ভ্যান কিনে তাতে চড়ে গোটা স্কটল্যান্ড ঘুরে বেড়াবেন সঙ্গীর খোঁজে। যতদিন না তার দেখা মিলবে, ততদিন খোঁজ জারি থাকবে।
এই অ্যাডভেঞ্চার চলতে পারে আজীবন। এই ট্রিপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্যাম্পার ভ্যান কিনতে, নিজের স্থাবর অস্থাবর সবকিছু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই মহিলা। মায়ের দেয়া গয়না, টিভি, ফ্রিজ, বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র, এমনকী নিজের ফ্ল্যাটটিও বেচে দেবেন বলে ঠিক করেছেন তিনি।
শুধু বেচবেন না তার সবচেয়ে পছন্দের তিনটি জিনিস। তাকে অনুপ্রাণিত করে একটি কালো ড্রেস, সেটি বেচবেন না। একজোড়া হিল জুতো, বেচবেন না সেটিও। আর অবশ্যই বেচবেন না তার আদরের পোষা কুকুর মাইলোকে। বিক্রিবাটা করার জন্য নিজেকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন নিকি।।
এসব হয়ে গেলেই তিনি ডিফেন্সের একটি ছোট কোর্স করবেন। যেখানে ভ্যানের চাকা পাল্টানোসহ শিখে নেবেন আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তারপর ক্যাম্পার ভ্যান কিনে শুরু হবে তার স্বপ্নের খোঁজ।
নিকি বলছেন, আমার স্বপ্নের মানুষটি এদিক-ওদিক কোথাও রয়েছেন। এবার আমার থিতু হওয়ার সময় এসেছে। প্রেমে পড়ার সময় এসেছে। আমি আমার মানুষটিকে খুঁজে পেয়ে গেলে, আমার ডেথ সার্টিফিকেটে আমার নামের পাশে কুমারী কথাটা লেখা থাকবে না। সূত্র : এই সময়