এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সংসার সুখের রমণীর গুণে, এ কথা যেমন সত্য, তেমনি সংসার সুখের করতে নারী ও পুরুষ উভয়েরই সমান অবদান রাখা জরুরি। যুগ যুগ ধরে সংসারের কর্তা হিসেবে পুরুষকেই বিবেচনা করা হয়। সংসারের অর্থনৈতিক দায়িত্ব তার উপরই বর্তায়। যদিও বর্তমান চিত্র কিছুটা ব্যতিক্রম।
প্রতি বছরের এপ্রিল তৃতীয় শনিবার পালিত হয় ‘হাজবেন্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা ‘স্বামীর প্রশংসা করার দিন। সংসারে স্বামীর যতটুকুই অবদান থাকুক না কেন, আজকের দিনে অন্তত তার অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে প্রশংসাসূচক মন্তব্যে তাকে অভিবাদন জানান।
দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠুন আজ। ছোট-বড় যে কোনো কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে অভিবাদন দিন। আজ তার সঙ্গে কিছুটা মধুর সময় কাটাতে যা করবেন আজকের দিনেই যে স্বামীকে ছুটি দিবেন তা কিন্তু নয়, যে কোনো একদিন স্বামীকে তার কাজ থেকে ছুটি নিতে বলুন।
এমনকি ঘরের কোনো কাজ করতেও নিষেধ করুন তাকে। ইচ্ছেমতো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সিনেমা দেখতে বা কোনো খেলা দেখতে যেতে বলতে পারেন। তার ইচ্ছেমতো সময় কাটানোর জন্য ছুটি দিন। সেদিন তাকে মুক্ত করে দিন! বছরের কোনো একটি দিন কখনোই স্বামী বা স্ত্রীর প্রশংসার জন্য হতে পারে না।
প্রতিদিনই প্রশংসা করা যেতে পারে। বিশেষ এ দিনে স্বামীকে প্রেমের কথা বলুন। পুরোনো দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তার প্রশংসা করুন। স্বামীকে প্রশংসাসূচক বাক্য বলে তাকে জড়িয়ে ধরুন। তার দীর্ঘায়ু ও কাজের উন্নতির জন্য শুভকামনা জানাতে ভুলবেন না। সংসারে তার উপস্থিতি কতটা প্রয়োজনীয় তা বোঝানোর চেষ্টা করুন এদিন।
স্বামীকে সময় দিন : ব্যস্ততা প্রতিদিনই থাকবে। বিশেষ করে নারীদের কর্মব্যস্ততা সব সময়ই! তারপরও আজকের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে স্বামীকে সময় দিন। তার সঙ্গে একান্ত কিছু মুহূর্ত কাটান।
সারপ্রাইজ দিন : স্বামীকে এদিন সারপ্রাইজ দিতে পারেন। ঘরের যে কোনো স্থানে একটি নোটে প্রেমবার্তা লিখে রাখতে পারেন। চাইলে উপহার দিয়েও তার প্রশংসা জানাতে পারেন।
প্রিয় খাবার রান্না করুন : স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করে তাকে চমকে দিন। চাইলে রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এনেও খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় তাকে রান্না করে খাওয়ালে। এতে আপনার স্বামী অনেক খুশি হবেন!
আপনি যেভাবেই দিনটি উদযাপন করুন না কেন, অবশ্যই স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন আপনার জীবনে ও সংসারের প্রতি তার অবদান কতটুকু।