এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে। তবে স্ত্রী যত সুন্দরীই হোক না কেন স্বামী যদি তার আচরণের ভালো না করে তাহলে সেই সংসারে আর যাই হোক সুখ হবে না। তাই সংসারে সুখ ফিরে আনতে স্বামীদের কিছু কাজ করা জরুরী। যা করলে বউ স্বামীকে পাগলের মতো ভালোবাসবে:
১। আপনার স্ত্রীকে পাগলের মত ভালবাসুন: আপনার স্ত্রীকে বুঝতে দিন তিনিই আপনার স্বপ্নের রাজকন্যা। আপনার কাজ, কথা, ভালোবাসা, আবেগ দ্বারা এর সত্যটা প্রমাণ করুন। আসলে ভালোবাসা হচ্ছে অনুভবের বিষয়, আপনি ভালোবাসায় কোন ফাঁকি দিলে আপনার স্ত্রী তা ধরে ফেলবেই। তাই আদর্শ স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীকে পাগলের মত ভালবাসতে হবে।
২। আপনার সঙ্গীকে রক্ষা করুন: কাপুরুষকে কোন মেয়েই পছন্দ করে না। স্ত্রীর সবচেয়ে বড় নির্ভরতার প্রতীক হতে হবে আপনাকেই। আপনি পাশে থাকলে স্ত্রী যেন মনে করে এই মানুষটি সব বিপদ থেকে প্রাণ দিয়ে তাকে রক্ষা করবে। স্ত্রীর ছোট বড় কোন সমস্যাই আপনি এড়িয়ে যাবেন না। মনে রাখবেন তাকে রক্ষা করাই আপনার পৌরুষত্বের পরিচায়ক।
৩। রোমান্টিক হয়ে উঠুন: মনে রাখবেন প্রেম শুধু শরীরেই বাস করে না। প্রেমের ক্ষেত্রে মন শরীর দুটোই লাগে। মন থেকে আপনার স্ত্রীকে ভালবাসুন। তার কানের কাছে মুখ নিয়ে বারবার ভালোবাসার কথাগুলো বলুন। তার প্রশংসা করুন। তাকে সময় দিন। তাকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যান। তার সাথে গল্প করুন। মাঝে মাঝে তার জন্য উপহার নিয়ে আসুন। মনে রাখবেন রোমান্সকে কখনই শুধু বেডরুমের মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন না। ভালোবাসাকে ছড়িয়ে দিন, আর আপনার সেই ভালোবাসার সবটুকু জুড়ে থাকুক আপনার স্ত্রী।
৪। স্ত্রীর প্রতি যত্ন নিন: সংসারে স্বামী সাহেব পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকবে আর সেবা যত্ন পাবে এমন চিন্তাধারা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়। একজন পুরুষ দুর্বল নয়। তাকে দেখিয়ে দিতে হবে তিনিও সেবা যত্নে পটু। তাই স্বামী হিসাবে স্ত্রীর প্রতি যথযথ যত্ন নিতে অবহেলা করবেন না। এতে আপনার সম্মান চলে যাবে না, বরং বাড়বে। স্ত্রীর খাওয়া দাওয়া, কাজকর্মের, শরীরের প্রতি নজর রাখুন। তার শরীর বা মন খারাপ দেখলে এমন কিছু করুন যাতে তিনি ভালো বোধ করেন।
৫। যোগাযোগ রক্ষা করুন: যোগাযোগ রক্ষা বিষয়টা অনেকের কাছে অস্বাভাবিক লাগতে পারে। তবে এটা প্রতিটি স্বামীর জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ন। রাতের বেলা মোবাইল ফোন, টিভি বন্ধ করে কিছুটা সময় শুধু নিজেদের জন্য রাখুন। কোন বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে খোলাখুলি আলোচনা করুন। মনে রাখবেন মেয়েরা ভালো শ্রোতা খুব পছন্দ করেন। স্ত্রীর কথাগুলো কোন কোন ক্ষেত্রে অযৌক্তিক হলেও তাকে কথাগুলো শেষ করতে দিন। এরপর ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে আপনার অবস্থান ব্যাখ্যা করুন। কোন অবস্থাতেই চেঁচামেচি বা কলহ করবেন না। এছাড়া আপনাদের পরিবারে কী ঘটছে এবং আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলুন।