এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বিনা দাওয়াতী মেহমানেদের ভয়ে বিয়ে করতে নারাজ আফগান যুবকদের। সে দেশে ক্ষুধার তাড়নায় দিশেহারা আফগানরা বিয়ে-শাদীর অনুষ্ঠানগুলোতে হাজির হচ্ছে দাওয়াত ছাড়াই। বেশ কয়েক বার দেশে গৃহযুদ্ধের পর এখনও খুঁড়িয়ে চলছে আফগান অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে অন্যতম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিনা দাওয়াতী মেহমান।
আফগানের বিয়ের অনুষ্ঠানে দুম্বা ও ভেড়ার মাংস, মুরগির রোস্ট, কাবুলি পোলাও, দই, শুকনো ফল এবং পুডিং দিয়ে অতিথিদের আপ্পায়ন করাই আফগানি রেওয়াজ৷ তাদের চক্ষুলজ্জা বিসর্জন দিয়ে অন্তত একবেলা পেট ভরে ভালোমন্দ খাওয়া তো হচ্ছে। আর অনাহূত এসব মানুষকে খাওয়াতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে বর-কনে পক্ষকে।
সেই ভরসাতেই একদল যুবক বেছে নিতে শুরু করেছেন এমন 'পেশা'৷ তাই কেউ যদি ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হয়ে একবার বিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারলে সেই রাতের জন্য পেট ভরে খাওয়া নিয়ে আর ভাবতে হবে না৷ এক্ষেত্রে অপমানের ভয়ে তাদের বুকও কাঁপছে না। কারণ, অতিথি সৎকারের জন্য প্রয়োজনে জান দিতেও রাজি পাঠানরা৷ এছাড়া বিষয়টির সঙ্গে দুই পরিবারের মান-সম্মানও জড়িয়ে রয়েছে৷ জড়িয়ে রয়েছে বহু বিভক্ত পাঠান সমাজের বিশেষ একটি গোষ্ঠীর সম্মানও৷
তাই অতিথি যখন পাঁচশ'র জায়গায় ১৫শ' হয়ে যাচ্ছে তখনও মুখে হাসি ফুটিয়ে প্রতিটি অতিথির পাতেই সম্মানের সঙ্গে খাবার তুলে দিতে হচ্ছে আপ্যায়নকারীদের। শুধু নতুন করে আয়োজনের পরিধিটা বাড়াতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই এ ঝামেলাটুকুকে মেনে নিচ্ছেন তারা।
শুধু যে সাধারণ পাঠান পরিবারগুলিকেই এমন বেহিসেবি অতিথি আপ্যায়নের মুখে পড়তে হয় তা কিন্তু নয়, এইতো কয়েক মাস আগে খোদ আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের পরিবারের বিয়েতেই তো অনাহুত অতিথি হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার৷
অতিথি সত্কারের জন্য প্রয়োজনে জান দিতেও রাজি পাঠানরা৷ আর, এক্ষেত্রে তো শুধু অতিতি আপ্যায়নই নয় একই সঙ্গে পাত্র ও পাত্রী- দুই পরিবারেরই মান-সম্মান জড়িয়ে রয়েছে৷ জড়িয়ে রয়েছে বহু বিভক্ত পাঠান সমাজের বিশেষ একটি গোষ্ঠীর সম্মানও৷
তাই, খরচের পরিমাণ এক ধাক্কায় কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও হাসিমুখে প্রতিটি অতিথির পাতেই সম্মানের সঙ্গে খাবার তুলে দিতে ত্রুটি রাখেন না আপ্যায়নকারীরা৷ শুধু যে সাধারণ পাঠান পরিবারগুলিকেই এমন বেহিসেবি অতিথি আপ্যায়নের মুখে পড়তে হয় তেমন নয়, এই তো কয়েক মাস আগে খোদ আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের পরিবারের বিয়েতেই তো আনাহূত ভাবে হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ৷
কিন্তু, প্রেসিডেন্ট যা সামলাতে পারেন, তা কি সবাই পারেন? তাই, বিয়ের কথা পাকা হলেই হিসাব বহির্ভূত খরচের কথা ভেবে চিন্তায় পড়ে যেতে শুরু করেছেন পাঠান যুবকরা৷ কঠোর হওয়ার কথা ভেবেও থমকেছেন অনেকে৷ অনাহূতদের কেউ তো বলেই দিয়েছেন, পাত পেড়ে না খেলে দুঃখের দিনেও আসবেন না তাঁরা৷