এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : উত্তরে কাশ্মির, দক্ষিণে কণ্যাকুমারী মাঝে ২৯টি প্রদেশ নিয়ে বিরাট এক দেশ ভারত। ভারত এমন একটি রহস্যময় দেশ যেখানে বহু প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা৷ কারন শস্যশ্যামলা এই ভূমির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অদ্ভূত সব ভূতূরে কান্ড৷ শোনা যায়, ভারতেও এমন কিছু পরিচিত – অপরিচিত জায়গা আছে যেখানে ভূতেদের বসবাস৷ চলুন দেখা যাক তেমন কিছু জায়গার বর্ণনা...
১. রাজস্থানের ভাণগড় ফোর্ট: শোনা যায়, বহু বছর আগে একজন তান্ত্রিক তন্ত্রজাদু বলে ভাণগড়কে সারাজীবনের জন্য জনমানবশূন্য করে দিয়েছিল৷তাই এখনও সূর্যাস্তের পর ওই এলাকায় পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি নেই৷এছাড়াও অন্য একটা গল্প শোনা যায় ভাণগড়কে নিয়ে৷অনেকেই বলেন, এখানকার কিছু গ্রামের বাড়ি ছাদহীন৷আজকেও যদি সেই বাড়িগুলিতে ছাদ ঢালাই করা হয়, তাহলে সেটা ভেঙে পড়বে৷ অবাক হচ্ছেন? দাঁড়ান৷ এখনও ১৭টি জায়গা বাকি আছে অবাক হওয়ার জন্য৷
২. অাসামের জতিঙ্গ ভ্যালি: রহস্যের চাদরে মোড়া অসমের এই অপূর্ব উপত্যকা৷শোনা যায়, প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে অসংখ্য পরিযায়ী পাখির দল উড়ে আসে এই উপত্যকায়৷ কিন্তু তারা আর ফিরে যায় না৷কিন্তু কেন ? তাহলে কী তারা আত্মহত্যা করে? বৈজ্ঞানিকরাও দীর্ঘদিন ধরে এঘটনা গিয়ে চর্চা করেছেন কিন্তু কোনও উত্তর এখনও পাওয়া যায় নি৷
৩. হায়দ্রাবাদের রামোজী ফিল্ম সিটি: আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ভূত বা আত্মা শুধু ভগ্নপ্রায় পুরনো বাড়িতে থাকে তাহলে আপনি ভুল করবেন৷আপনি কী জানেন, হায়দ্রাবাদের রামোজী ফিল্ম সিটির ঝাঁ-চকচকে হোটেলেও অনেকে ভূতের ভয় পেয়েছেন? স্থানীয় বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন নিজাম সুলতানের জমির ওপর এই ফিল্ম সিটি তৈরী হওয়ার কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে৷সময় এগিয়েছে৷ কিন্তু এখনও না কি সেখানে অনেকেই দরজায় ধাক্কার আওয়াজ শোনেন কিংবা হঠাৎ করে অশরীরি ছায়া দেখতে পান৷
৪. মিরাটের জিপি ব্লক : স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দ্বিতল এই বাড়ির ঘরগুলিতে প্রেতাত্মার অস্তিত্ব স্পষ্ট বোঝা যায়৷কেউ কেউ বলেন, এইবাড়িতে মাঝে মধ্যে চার জনকে একসঙ্গে বসে মদ্যপান করতে দেখা যায়৷আবার অনেকে এই বাড়ি থেকে লাল ড্রেস পরা একজন মহিলাকে বেড়িয়ে যেতে দেখেছেন৷
৫. কলকাতার ন্যাশানাল লাইব্রেরী: শোনা যায়, অনেক দিন আগে একজন পড়ুয়া রিসার্জের কাজে লাইব্রেরীতে ঢুকেছিল কিন্তু পরে আর বেরোয়নি৷৷অনেকেই বলেন, এখনও নাকি প্রতিদিন সকালে লাইব্রেরীর ডেস্কে কিছু চিঠি, কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকতে দেখা যায়৷
৬. মুম্বাই-এর ডিসুজা চল অফ মাহিম: শোনা যায়, অনেক বছর আগে একজন মহিলা এখানে জল তোলার সময় পরে গিয়ে মারা যায়৷এখনও না কি প্রতিদিন রাতে এলাকার বাসিন্দারা তার পায়ের শব্দ পাওয়া যায়৷
৭. সুরাটের দামাস বিচ: অনেকেই বলেন, এই বিচ যখন জনমানবশূন্য থাকে তখনও না কি এখানে মানুষের ফিসফিস শব্দ শোনা যায়৷
৮. গোয়ার চার্চ অফ ত্রি কিংস: এটি গোয়ার বিখ্যাত ভূতূরে জায়গা৷শোনা যায়, একজন পর্তূগীজ রাজাকে এখানে খুন করা হয়েছিল এবং অন্য একজন পর্তূগীজ রাজা এখানে আত্মহত্যা করেছিলেন৷
৯. সিমলার টানেল নম্বর ১০৩: সিমলা-কালকা রেলওয়ে ট্র্যাক-এ টানেল নম্বর ১০৩৷টানেলের মধ্যে একজন মহিলার আত্মা ঘোরাফেরা করতে দেখেছে অনেকে৷
১০. কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং: শোনা যায়, সূর্যাস্তের পর এখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর অফিসার ক্যাপ্টেন সিম্পসন রোমসের আত্মাকে ঘুরতে দেখা যায়৷
এছাড়াও নিম্নলিখিত স্থানগুলির সঙ্গে ভৌতিক সম্পর্ক আছে
১১. পুনের শানিওয়ারওয়াদা ফোর্ট:
১২. মুম্বাই-এর তাজ মহল প্যালেস:
১৩. রাজস্থানের কুলধারা:
১৪. পশ্চিমবঙ্গের আলেয়া গোস্ট লাইটস:
১৫. দিল্লীর আগ্রাসেন কি বাওলি:
১৬. মুম্বাই-এর সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশানাল পার্ক:
১৭. রাজস্থানের কোটায় ব্রিজ ভবন প্যালেস:
১৮. দিল্লীর ফিরোজ শা কোটলা: