এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: পছন্দের নারীর মন পাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। তাই তো অনেক করে চাওয়ার পরেও মনের মানুষের মন পান না অনেকেই। বহু চেষ্টার পরও প্রেমের ভেলা ভাসিয়ে দেওয়া যায় না ভালোবাসার জলে টইটম্বুর নদীতে! ফলতঃ হৃদয়ে রয়ে যায় অপূর্ণতার স্বাদ।
সস্পর্কের চোরাগলি নিয়ে চর্চারত বিশেষজ্ঞদের জানাচ্ছেন, মনের মানুষের মন পেতে গেলে একটু চালাক-চতুর হতে হবে। নইলে যে তরী কোনও কূলেই ভিরবে না। তাহলে উপায়? এক্ষেত্রে কয়েকটি সহজ কৌশলের মাধ্যমেই মহিলাদের মন জয় করে নেওয়া সম্ভব। যদিও মুশকিল হল, বহু ‘সিঙ্গল’ তকমা পাওয়া পুরুষই পছন্দের নারীর মন পাওয়ার শর্টকার্ট সম্পর্কে জানেন না। তাই বহু চেষ্টার পরও ভালোবাসা তো দূর, সামান্য আলাপচারিতা পর্যন্তও এগয় না কথা। অর্থাৎ বৃষ্টি তো দূর, বাতাসে আর্দ্রতা পর্যন্ত নেই।ফলত চাতকের প্রাণ করে আনছান!
তবে আমরা থাকতে আপনি আজীবন সিঙ্গল থেকে যাবেন, এমনটা হয় নাকি! না, আমরা আপনাকে প্রেমের সাগরে ভাসিয়ে দেবই। আর শুধু ভাসিয়ে দেওয়াই নয়, বরং সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও আমাদের। তাই আর দেরি না করে মাত্র ৭ দিনেই ‘দিলরুবার’ মনের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার কৌশল জেনে নিন ঝটফট।
১. পরিকল্পনাই শেষ কথা: যে কোনও কাজে সফল হতে গেলে পরিকল্পনা করা দরকার। আর এই আপ্তবাক্য তো প্রেমের মতো জটিল রসায়ন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ খাঁটি। তাই কোনও মহিলাকে পছন্দ হলে তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগার করার কাজে নেমে পড়তে হবে। কোথায় থাকেন, কাদের সঙ্গে মেশেন, কী খেতে পছন্দ করেন, কারও সঙ্গে ইতিমধ্যেই সম্পর্ক রয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলি আপনার নখদর্পনে থাকা চাই। এই তথ্যগুলি হাতে আসার পর একটা পরিকল্পনা সেরে নেওয়া খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে কী ভাবে তাঁর সঙ্গে আলাপ করবেন, কী ভাবে কথা বলবেন, কী কী কথা বলবেন ইত্যাদি বিষয়গুলি একে একে সাজিয়ে ফেলুন। এতেই দেখবেন ভালোবাসার অচেনা রাস্তায় হাঁটতে সুবিধা হবে।
২. ফ্যাশন ট্রেন্ড মেনে চললেই হাতেনাতে মিলবে ফল: কথায় আছে, প্রথমে দর্শনধারী, তারপর গুণবিচারি। তাই নিজের ভালো চাইলে, অদ্ভুত সাজ সেজে পছন্দের মহিলার সঙ্গে আলাপ করতে চলে যাবেন না। বরং মনের মানুষের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরার চেষ্টা করুন। আর এখানেই কাজে আসবে আপনার ‘রেকি’। আপনি নিশ্চয়ই খোঁজ নিয়ে ফেলেছেন যে আপনার পছন্দের নারী ওয়েস্টার্ন না ইন্ডিয়ান ড্রেস পছন্দ করেন। এবার সেই তথ্যকে কাজে লাগানোর পালা। এক্ষেত্রে তাঁর পছন্দ মতোই নিজেকে সাজিয়ে তুলতে হবে। এতেই দেখবেন তাঁর নজর সরাসরি গিয়ে পড়েছে আপনারই দিকে।
৩. লজ্জা ছাড়িয়ে আলাপ জমান: অনেকেই মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা পান। আর এটাই তাঁদের ভালোবাসার ক্ষেত্রে অন্তরায়। তাই এই ভুল আর করলে চলবে না। বরং এক বুক শ্বাস নিয়ে মন শান্ত করুন। তারপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমান। নিজের পরিচয় দিন। এটাই হল আপনার প্রথম কাজ। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই কাজটা সেরে ফেলুন। নইলে যে প্রেমের গাড়ি এগতেই পারবে না!
৪. কফি ডেটে যেতে হবে মশাই: প্রথম সাক্ষাতের পর আর সময় নষ্ট করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় সাক্ষাতের ছুঁতো খুঁজতে হবে। আর কোনও ক্রমে তাঁর দেখা পাওয়া সম্ভব হলেই কফি খাওয়ার কথা তুলতে ভুলবেন না যেন! আশা করছি একসঙ্গে বসে কফি খেতে মানা করবেন না পছন্দের নারী।
এরপর কাছের কোনও কফি শপে বসে পড়ুন। ঝটপট খাবার অর্ডার করে ফেলুন। আর খাবার যতক্ষণ না আসে ততক্ষণ নিজের এবং পরিবার সম্পর্কে একটা ছোটখাট ইন্ট্রো দিন। তবে শুধু নিজে কথা বলে গেলেই হবে না। বরং প্রিয়তমার বিষয়েও জানারা চেষ্টা করুন। এই কথপোকথনের মাধ্যমেই কথা এগবে।
৫. অপেক্ষা নয়: এভাবে দুই তিন দিন কথা বলার পর আর দেরি করা চলবে না। বরং একটা গোলাপ আর ডার্ক চকোলেট কিনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চলে যান। তারপর মনের কথা ঢেকে না রেখে সরাসরি বলে দিন। একটু রোম্যান্টিক অবতারে প্রোপোজটা সেরে ফেলুন। প্রয়োজনে প্রোপোজ করার আগে শাহরুখ খানের দুই-তিনটে ফিল্ম দেখে নিন। কিং খানের দেখানো কৌশলে প্রোপজটা সেরে ফেলতে পারলে আর প্রিয়তমা ‘না’ করতে পারবেন না। আর আপনার মিশনও হয়ে যাবে কমপ্লিট।